স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ায় গত ১লা ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কয়েকটি অটোরাইস মিলে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত চাল মজুত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রশাসন। নিয়মিত তদারকি পরিদর্শন করছেন উপজেলার দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অন্যদিকে রণবাঘা এলাকার মেসার্স মায়ামনি অটোরাইস মিলে চাল সংরক্ষণে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠানের ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার পাট পরিদর্শক রফিকুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার একদল পুলিশ নিয়ে মায়ামনি অটোরাইস মিলে অভিযান চালিয়েছেন। এসময় চাল সংরক্ষণে পাটের বস্তা ব্যবহার না করে ১শ টি প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন লঙ্ঘনের দায়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কুরশিয়া আক্তার। মায়ামনি অটোরাইস মিলের ম্যানেজার সোহেল বিশ্বাস বলেন,ঢাকাসহ সব জায়গায় চাল সংরক্ষণে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার হয়। পাটের বস্তা ১শ টাকা আর প্লাস্টিকের বস্তা মাত্র ২০টাকা। পাটের বস্তা ব্যবহার করে চালের দাম ১শ টাকা বেশি নিলেই আবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে ধরবে। ব্যবসা করব কি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চালকল সংশ্লিষ্টরা। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির জানায়,অতিরিক্ত চাল মজুত ঠেকাতে নিয়মিত তদারকি পরিদর্শনে গিয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সরকারি আদেশ মোতাবেক ধান ও চাল বিক্রয় করতে হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি),নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি),ওসিএলএসডি এবং ফুড ইন্সপেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার মায়ামনি অটো রাইস মিল,আকবর অটো রাইস মিল,বেলাল এন্ড ব্রাদার্স,আলহাজ্ব চালকল ও হাস্কিং কলগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। তাদের লাইসেন্স অনুযায়ী অনুমতি ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সেগুলোতে কম চাল মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি।