মোঃ হাসমত আলী অপু, জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর ‘২৩ ‘ সকালে ঝিনাইদহ সদর থানার মহারাজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রামনগর গ্রামে মোস্তফার কলাবাগান হতে দিন মজুর আসলাম (৪৩) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভিকটিমের মাথা, হাতের তালু ও কানের পাশে মারাত্মক জখমের চিহ্ন ছিল।ঘটনাস্থল হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত কিছু জামাকাপড়, একটি শাবল ও একটি কাচি উদ্ধার করা হয়।
এলাবাসীর সুত্রে জানা যায়, নিহত দিনমজুর আসলাম পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বহরামপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের সন্তান। ভিকটিম নিহত আসলাম ঝিনাইদহ এলাকায় জীবিকা নির্বাহের জন্য দিন মজুরের কাজে এসেছিল।
চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর হতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং উক্ত ক্লুলেস মামলার হত্যাকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব অভিযান অব্যাহত রাখে।
র্যাব – ৬কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ৫ ডিসেম্বর আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও সার্বক্ষণিক মনিটরিং এর মাধ্যমে উক্ত ক্লুলেস হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীর অবস্থান নিশ্চিত পূর্বক র্যাব-৪, সিপিসি-২ এবং র্যাব-৬, সিপিসি-২, ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারী আসামী মোঃ সোহেল(৪০) মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার চান্দির চর গ্রাম এলাকায় গোপনীয়ভাবে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি ঐ দিন রাতে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল হত্যাকারীকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন দুদস্বর চরপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র সোহেল(৪০) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং জানায় যে, উদ্ধারকৃত শাবল দিয়ে আঘাত করে দিনমজুর আসলামকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।