আহমেদ হোসাইন ছানু, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার-
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার অন্তর্গত গোলখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুরু থেকেই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ছিলেন মোঃ রাজা মিয়া। তিনি বিদ্যালয় টির শুরু থেকেই নানান অনিয়মের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতি ২১/১১/২০২৩ ইং বিদ্যালয় টি নিয়ে এক অবিভাবক গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাজা মিয়ার বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হলোঃ
(১) তিনি রাতের আঁধারে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি তৈরী করে তার পছন্দ মত। কোনো নির্বাচন ও তফসিল ছাড়াই তিনি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন যা কোনো অবিভাবক পর্যন্ত জানেন না।
(২) তিনি তার পকেট ম্যানেজিং কমিটির দুই একজন নিয়ে বিদ্যালয়ে কিছু নিয়োগ বাণিজ্য করে। কম্পিউটার ল্যাব পদে মোঃ সাইফুলের কাছ থেকে ৭০০,০০০ টাকা এবং আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে ২০০,০০০ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
(৩) তিনি বিদ্যালয় থেকে ছুটি না নিয়েই প্রায়ই ভারত যায় যেন এটা দেখার মত কেউ নাই। অভিযোগ কারীগণ বলেন তিনি ভারতে চিকিৎসা সেবার নামে অনেক মানুষের দালালী করে। যার কারণে ছাত্র ছাত্রীর রেজাল্ট খারাপ করে।
(৪) তার করা পকেট ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী মোঃ শামসুল হক মৃধা প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত একই পদে বহাল আছে।
(৫) দীর্ঘ্য দিন যাবৎ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক পদে থেকে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরাইছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ রাজা মিয়ার উপরোক্ত সকল জালিয়াতি গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এসব বিষয় শিক্ষক প্রতিনিধিগণ প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের উপর চরাও হয়। শিক্ষক প্রতিনিধির সাথে যেন তার পূর্ব শত্রুরতা লেগে আছে।
এ বিষয় সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাজা মিয়ার সাথে কথা বললে সাংবাদিকদের তিনি বলেন আমার বিদ্যালয়ে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়নি আমি এর সাথে জরিত না।অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী মোঃ শামসুল হক মৃধা বলেন দেখেন সকল কিছুতেই নিয়ম অনিয়ম থাকে তবে টাকা নেয়ার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না যদি হয়ে থাকে তাহলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।সহকারী প্রধান শিক্ষক জুলেখা আক্তার বলেন আমার বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি হয় তা আমি জানি না কমিটি হওয়ার পরে আমি জানতে পারি। তবে কম্পিউটার ল্যাব পদে যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সে পদটা আমার বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত তৈরী হয়নি। টাকা পয়সা কত কি নিছে বা নেয়নি তা আমি জানি না। গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার কাছে একটা সবিতা রাণী নামের একজন অবিভাবক অভিযোগ লিখিত আকারে দিয়েছে তদন্ত স্বরুপ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে জানতে রাজা মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি বার বার ফোন রিসিভ করে কিছু বলতে পারবো বলে ফোন রেখে দেন।