বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ দুই উপজেলায় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি পূজামণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ, ভক্ত ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। হারেজ প্রতিটি পূজামণ্ডপে উপস্থিত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন, উৎসবকালীন সময়ে তারা যেন সরাসরি পাহারায় থেকে পূজার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করেন। পরিদর্শনকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “আমরা সবাই এই দেশে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। ধর্মের ভেদাভেদ আমাদের সংস্কৃতিতে নেই। একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে সমাজে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে কেউই আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমানের নির্দেশেই আমি সার্বক্ষণিক মাঠেই আছি। তিনি আমাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেন—এই দেশ সব ধর্মের মানুষের। তাই পূজা হোক কিংবা ঈদ, আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকব।”হারেজ পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর সম্বলিত ভিজিটিং কার্ড তুলে দেন। তিনি বলেন, “যে কোনো ধরনের সমস্যা বা আশঙ্কার ক্ষেত্রে সরাসরি আমাকে ফোন করুন। আমি এবং আমার দলের কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”তার এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মাঝে আশার আলো ছড়িয়ে দেয়। অনেকেই জানান, রাজনৈতিক নেতারা যদি সরাসরি মাঠে থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ান, তবে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং উৎসবও আরও আনন্দঘন হয়ে ওঠে। স্থানীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের একজন নেতা বলেন, “হারেজ সাহেব শুধু কথা বলেই থেমে থাকেননি, তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। এর ফলে ভক্তদের মনে ভরসা তৈরি হয়েছে।”এছাড়াও বিএনপি নেতার এই উদ্যোগে এলাকাজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় রাজনৈতিক নেতাদের আন্তরিক ভূমিকা সমাজকে আরও দৃঢ় করবে। হারেজ তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস হচ্ছে মিলেমিশে বসবাসের ইতিহাস। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের গৌরব। ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। কারণ এই দেশের মানুষ শান্তি চায়, সংঘাত নয়।”তিনি আরও যোগ করেন, “যতদিন আমি বেঁচে আছি, ততদিন সব ধর্মের মানুষের পাশে থেকে কাজ করব। পূজামণ্ডপে আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। বিএনপি আপনাদের পাশে আছে।” তার এই আশ্বাসে পূজামণ্ডপ গুলোতে উৎসবের আমেজ আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এলাকাবাসী মনে করেন, রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে এভাবে যদি সবাই মানুষের পাশে দাঁড়ান, তবে প্রকৃত অর্থেই বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠতে পারবে