মুরাদ খান মানিকগঞ্জ থেকে
পাটুরিয়ায় ইটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবির ঘটনায় ১১ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।কর্তব্যে অবহেলা মিথ্যাচারের কারণে একজনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও শোকজ করা হয়েছে এজিএম (মেরিন) মো. আহমদ আলীকে।
বিআইডব্লিউটিসি’র চিফ পার্সোনাল ম্যানেজার মো. ফজলে রাব্বি স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় রজনী গন্ধা ফেরির বাউন্ডারি রেলিং এবং ডেকের নিচে হালের অংশ অন্য ফেরির সঙ্গে সংঘর্ষ পন্টুনে ভেড়ানোর সময় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। ফেরিটি পরিচালনার ক্ষেত্রে মাস্টাররাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেননি।
তদন্ত কমিটি সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ফেরির মাস্টার (ইনচার্জ) এবং কর্তব্যরত অন্যান্য স্টাফদের বিধিলঙ্গন ও চরম গাফিলতিকে দায়ী করা হয়েছে। তাদের এহেন আচরন ও কার্যকলাপ চাকরি নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী ওর শাস্তির যোগ্য অপরাধ। কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা- ১৯৮৯ এর
৪৬ (১) ধারার বিধান মতে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সময় তারা খোরাকিভাতা প্রাপ্য হবেন। বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, বিআইডব্লিউটিসি ওয়েবসাইট থেকে বরখাস্তের আদেশের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বরখাস্ত করা হয়। যা ৩ মার্চ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন, ফেরির সেকেন্ড মাস্টার মোঃ আঞ্জুমান, ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মেহের আলী, লস্কর মো. মুরাদ, মানিক রায়, মো. আরিফুর রহমান, মনির আহমেদ, গ্রিজার মামুন লস্কর, এনায়েত হোসেন, মাসুম শিকদার ও হুইল সুকানি সবুজ মিয়া। এছাড়াও শোকজ করা হয়েছে এজিএম (মেরিন) মো. আহমদ আলীসহ বেশ কয়েকজনকে। মিথ্যাচার ও দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতির কারণে রজনীগন্ধা ফেরির অস্থায়ী গ্রীজার মামুন সিকদারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এজিএম মেরিন মো. আহমদ আলীকে দেওয়া শোকজে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৮ টায় ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা নয়টি ট্রাকসহ পাটুরিয়া ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মায় ডুবে যায়। এই ঘটনায় ফেরির সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবির প্রাণ হারায়। ৮ দিন পর উদ্ধার করা হয় রজনীগন্ধাকে।
এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে।