লাবলু বিশ্বাস
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:১৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ছেলেকে মারতে দেখে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন মা
ছেলেকে মারধর করতে দেখে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন মা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এমনই ঘটনা ঘটে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নুরুল্লাপুর গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে লিমন সরদারকে (২২) সাত হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন একই এলাকার ওয়াশিম সরদারের ছেলে রন্টু সরদার। এ টাকা দীর্ঘদিন ফেরত না দেওয়ায় রন্টু সরদার লিমনের বড় ভাই সুমন সরদারকে (২৫) বিষয়টি জানান। সেসময় সুমন সরদার টাকা পরিশোধের জন্য দুই মাসের সময় চেয়ে নেন। এক সপ্তাহ আগে টাকা পরিশোধের সময় শেষ হলেও তা না দেওয়ায় নুরুল্লাপুর গ্রামের কুতুবের মোড় এলাকায় সুমনের কাছে টাকা চান রন্টু।
এনিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সুমনের মা সেলিনা খাতুন (৪৭)। ছেলেকে মারধর করতে দেখে ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নুরুল্লাপুর গ্রামের মিঠুন হোসেন বলেন, ‘দুজনের মারামারি দেখে আমাদের প্রতিবেশী চাচি সেলিনা খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।’
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খান জাগো নিউজকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার (তদন্ত) কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে মারতে দেখে সেলিনা খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
বাড়িতে বাবার মরদেহ, পরীক্ষাকেন্দ্রে বারবার জ্ঞান হারালো মেয়ে
২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার ২০২৪
বাড়িতে বাবার মরদেহ, পরীক্ষাকেন্দ্রে বারবার জ্ঞান হারালো মেয়ে
পাবনার ঈশ্বরদীতে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সুরাইয়া খাতুন নামের এক পরীক্ষার্থী। তবে শোক সইতে না পেরে বারবার কেন্দ্রে জ্ঞান হারায় সে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার গড়গড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে
সুরাইয়া খাতুনের বাবা ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া বাজারের তেল ব্যবসায়ী ও গড়গড়ি গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান মালিথা (৫৭)। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানী ঢাকার বারডেম হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার জানাজা বুধবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সুরাইয়া খাতুন এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। আজ তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষায় অংশ নিতে সকালে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে বাঁশেরবাদা পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয় সে।
কেন্দ্র সচিব ও বাঁশেরবাদা উচ্চ বিদ্যাললের প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম বলেন, বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। মেয়েটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিল। আমরা যথাসম্ভব তাকে মানসিক শক্তি জুগিয়ে ঠিকমতো পরীক্ষা দেওয়ানোর চেষ্টা করেছি।