জুয়েল শেখ জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ৫ নং ফিডারের আওতা ভূক্ত এলাকা পরিচালক নির্বাচনে ভোট গ্রহণে জাল ভোট, এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া ও ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাঁধা দেওয়া সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পরিচালক পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী ছাতা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে পাঁচবিবি এলবিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাচলা কালীন সময়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত আমার সমর্থিত ভোটাদের প্রতিপক্ষ চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আব্দুর রশিদ ফকিরের কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন ভাবে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা প্রদান করছেন। তাছাড়া, ভোট কেন্দ্রের ৮নং বুথে ছাতা প্রতীকের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ম্যানুয়াল অনুযায়ী অক্টোবর মাসের পরিশোধিত বিলের কপি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের মূলকপি নিয়ে ভোট দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা এবং নির্বাচনে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।
চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী রশিদ ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে বলেন বরং তারাই জাল ভোট দিয়ে আমার উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন। তবে ভোট এখন পর্যন্ত সুষ্ট হচ্ছে।
পাঁচবিবি উপজেলার নওদা এলাকার ভোটার জাহাঙ্গীর হোসেন, বেলা ১২ টার দিকে পাঁচবিবি এলবিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ৪নং বুথে ভোট দিতে তার ভোট আগেই দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার। বিষয়টি তাৎক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জাল ভোটের বিষয়ে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। ভোট দিতে না পেরে বাড়ী ফিরে যান তিনি।
বড়মানিক গ্রামের আবু তাহের অভিযোগ করেন,নিয়মিত বিল পরিশোধের পরও ভোটার তালিকায় তার নাম নেই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, রির্টানিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ণ বোর্ডের অভ্যন্তরীণ নিরিক্ষা পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) মোঃ আবুল খায়ের দফাদার প্রার্থীর করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুষ্ঠু ও মনোরম পরিবেশে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।
তবে, জাল ভোট ও অনিয়ম থাকলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে ৩৭ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহন চলবে।