ঢাকাFriday , 1 December 2023
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি বার্তা
  6. খেলাধুলা
  7. গনমাধ্যাম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. নগর জীবন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফ্যাশন
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল রোড গোল চত্বরে নতুন আঙ্গিকে মৎস্য আড়ৎ

    admin
    December 1, 2023 4:27 pm
    Link Copied!

    রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঢাকা-নটোর মহাসড়কের হাটিকুমরুল গোতচত্বর পাশে হাটিকুমরুল নিউ টাউন মৎস্য আড়ৎ। সেখানে দাঁড়িপাল্লা হাতে দাঁড়িয়ে কয়েলদার। পেছনে খাতা-কলম হাতে হিসাব কষতে ব্যস্ত আড়তের সরকার। দিনের আলো না ফুটতেই সিরিয়াল ধরে আসছে মাছ ভর্তি বিভিন্ন যানবাহন। সেই মাছ আনলোড করে পাল্লায় তুলতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন পাল্লার ওপর। পছন্দের মাছ কিনতে ব্যাপারীরা দাম হাঁকিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি পাল্লা মাছ বিক্রি করতে কিছুক্ষণ চলছে দর কষাকষি। শেষ সর্বোচ্চ দরদাতার হাতে যাচ্ছে মাছ।

    প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে মাঝখানে ঘণ্টাদুয়েক বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত আড়ৎজুড়ে চলে মাছ বেচাকেনার কর্মযজ্ঞ। এ আড়তের প্রত্যকটি ঘরগুলোতে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ্য টাকার মাছ বিক্রি হয়। (১ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের পাশেই হাটিকুমরুল গোলচত্বর নামক স্থানে রাস্তায় মাছভর্তি সারিবদ্ধ যানবাহন। মাঝখানে ফাঁকা রেখে আড়তের চারপাশে গড়ে তোলা হয়েছে আড়তের ঘর। পুরো অংশে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ইট। আড়ৎ চলাকালে ভেতরে পা ফেলার জায়গা থাকে না। এসব আড়ৎ ঘিরে গড়ে উঠছে বিভিন্ন খাবারের দোকান।

    আড়ৎদারা জানান, ২০ বছর আগে হাইওয়ে রোডের পাশেই প্রথম আড়‍ৎটি চালু হয় ,কিন্তুু বর্তমানে সরকার হাটিকুমরুল ইন্টারচেন্জ এর জন্য জমি অধিগ্রহণ করায় বর্তমানে নিজস্ব অর্থায়নে ১০ বিঘা জমি বর্ধিত করে এ আড়‍ৎ গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখানে ১২০ জন আড়‍ৎদার রয়েছেন। প্রতিদিন এখানে ২ হাজারেরও বেশী কর্মচারী ও শ্রমিক কাজ করেন। সকাল ও দুপুরের বাজার মিলে ৫ থেকে ৭ হাজারের বেশি ব্যাপারী মাছ কিনতে এ আড়তে নিয়মিত আসেন। প্রতিদিন প্রায় ১ থেকে ২ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রি হয় এ আড়তে। মাছের ব্যাপারীরা জানান, বড় বড় মাছের জন্য এ আড়তের খ্যাতি দেশজোড়া। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় আড়তের ভেতরে পানি জমে না । তবে আড়তে চাঁদাবাজদের কোনো দৌরাত্ম্য নেই, ব্যাপারী ইলিয়াস রহমান বলেন,যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় নিরাপদ পরিবেশেই মাছ কিনে সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেন। ব্যাপারীদের সুযোগ সুধিধা ও বরফের দাম কম হওয়ায় উত্তর বঙ্গের মাছের ব্যবসায়ীরা এখান থেকেই নিয়মিত মাছ কেনেন। ইজারাদার মিজানুর রহমান বিএসসি বলেন, উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে পুরাতন ও এতিহ্যবাহী মৎস্য আড়ৎ এটি। প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি টাকা হাটঢাক ইজারার মাধ্যম সুনামের সহিত এ হাট চলে আসছে। কিছু দূস্কৃতিকারী হাটটি নষ্ট করার পায়তারা করেছিল। আমরা আরও পরিসরে ঐতিহ্য হাটটি পুনরায় সাজিয়েছি। এবং বিক্রেতা ও ক্রেতাদের আরো বেশী সুযোগসুবিধা দিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মধ্যে
    মডেল আড়ৎ হিসেবে স্বীকৃত পাবে আমরা আশাবাদী।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।জরুরী প্রয়োজনে আমাদের হেল্পলাইন নাম্বারে কল করুন-01912.473991 অথবা আমাদের জিমেইলে পাঠান-amardeshpbd@gmail.com