এম,এ,মান্নান,স্টাফ রিপোর্টার
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো হাত ধোয়া বিষয়ক বিশেষ ক্যাম্পেইন। এ ক্যাম্পেইনটির আয়োজন করে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি, বারিন্দ্র অঞ্চল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজন অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, যিনি তার বক্তব্যে বলেন— নিয়মিত ও সঠিকভাবে হাত ধোয়া শুধু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষাই নয়, বরং পরিবার ও সমাজকে রোগব্যাধির ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। তিনি শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার অভ্যাসকে দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলতে উৎসাহিত করেন।এছাড়া শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ সক্রিয়ভাবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে সহযোগিতা প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, হাত ধোয়ার মতো ছোট একটি অভ্যাস জীবাণু প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।ব্র্যাক অফিস, নিয়ামতপুর, নওগাঁ-এর সৌজন্যে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিদা হুসাইন নিশি,প্রোগ্রাম অর্গানাইজার ড্যানিয়েল মরমু,প্রোগ্রাম অর্গানাইজার
অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি প্রদর্শন করেন এবং জীবাণু কীভাবে ছড়ায় এবং কীভাবে হাত ধোয়ার মাধ্যমে এসব জীবাণু প্রতিরোধ করা সম্ভব— সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীরা আগ্রহ সহকারে সকল কার্যক্রমে অংশ নেয় এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব উপলব্ধি করে।ক্যাম্পেইনে ধাপে ধাপে হাত ধোয়ার নিয়ম, সাবান বা হ্যান্ডওয়াশের সঠিক ব্যবহার, খাবার গ্রহণের আগে-পরে, টয়লেট ব্যবহারের পর এবং বাইরে থেকে এসে হাত ধোয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিষয়ক কিছু সচেতনতামূলক উপকরণও বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের সমাপনীতে আয়োজকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তুলতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তারা আশা প্রকাশ করেন— এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পরিবার ও সমাজেও স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।এ ক্যাম্পেইনটি শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং স্থানীয়ভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সকল অংশগ্রহণকারী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।




