জোটের প্রার্থী নয়, ধানের শীষের প্রার্থী চায় বাঞ্ছারামপুর বিএনপি
সফিকুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি
বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন ফের দখলে নিতে মরিয়া দলটি। ১৯৮৮ সালে এটিএম ওয়ালী আশরাফ, ১৯৯৪ সালে শাহজাহান হাওলাদার সুজন এবং ২০০১ সালে এম এ খালেক পিএসসি—এই তিন নেতা বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও স্থানীয় নেতাকর্মীরা চান, এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকেই মনোনয়ন দেয়া হোক।
উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করে একই দাবি জানান—
“ডান-বাম বুঝি না, এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী চাই।”
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “ধানের শীষ ছাড়া অন্য কোনো শরিক দলের প্রার্থী আমরা মেনে নেব না।”
বিক্ষোভ-সমাবেশে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছালে মুছা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আকাশ, সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আবু কালাম, মাহবুব হাসান, ছাত্রদল নেতা শাহাদাত হোসেন, লিটন সরকার, আশিকুর রহমান অন্তু, বিউটি আক্তার ও রুমা বেগম প্রমুখ।
নেতারা বলেন,
> “বিগত দেড় দশক ধরে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে দলকে টিকিয়ে রেখেছে। মামলা, জেল, নির্যাতনের মধ্য দিয়েও আমরা মাঠে ছিলাম। এখন বাইরের কেউ এসে বলবে এই আসন তার—এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তাঁরা অভিযোগ করেন, “ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়ন পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও তখন জোটের কেউ পাশে ছিল না। অথচ এখন উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইছে গণসংহতি আন্দোলন।”
বক্তারা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “যার স্থানীয় গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাকে চাপিয়ে দেয়া যাবে না। বাঞ্ছারামপুরে আমরা ধানের শীষের প্রার্থীই চাই—সে যেই হোক।”
অন্যদিকে জোটের শরিক দল গণসংহতি আন্দোলনও আসনটি নিজেদের অনুকূলে নিতে তৎপরতা চালাচ্ছে। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বিভিন্ন ইউনিয়নে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করলেও, বিএনপির মধ্যে রয়েছেন এক ডজনেরও বেশি সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁরা দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন—সবাই ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকারও করছেন।