এম,এ,মান্নান,নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
নেতৃত্ব এমন এক মহৎ গুণ, যা কেবল ক্ষমতার আসনে বসার নাম নয়; বরং মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করার অন্য নাম। সমাজের প্রকৃত নেতা সেই ব্যক্তি, যিনি জনগণের সুখ-দুঃখে ছায়ার মতো পাশে থাকেন, নিঃস্বার্থভাবে তাদের কল্যাণে কাজ করেন এবং আলোকবর্তিকার মতো পথ দেখান। নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ৭নং শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত আলহাজ্ব কাজী শামসুল আলম তেমনই এক নেতৃত্বগুণসম্পন্ন মানুষ, যিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেছেন।মানুষ বলে—“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।” কাজী শামসুল আলম এই প্রবাদকে জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করেছেন। তিনি গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষের কল্যাণে সর্বদা নিবেদিতপ্রাণ। মানুষের ডাক তাঁর কাছে অবহেলার বিষয় নয়; বরং এক ধরনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই দিনের আলো কিংবা রাতের আঁধার—যখনই কারও বিপদের খবর পান, ছুটে যান সেখানে। তাঁর এই মানবিক গুণাবলিই তাঁকে আলাদা করেছে সাধারণ নেতাদের থেকে।এলাকার মানুষ তাঁকে একজন সহমর্মী অভিভাবক হিসেবে দেখে। তিনি যে শুধু উন্নয়নের স্বপ্ন দেখান তা-ই নয়, বরং মানুষকে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে সাহস জোগান। তিনি বিশ্বাস করেন—জনগণের আস্থা ও ভালোবাসাই একজন নেতার সবচেয়ে বড় মূলধন। আর তাই তিনি মানুষের সেবাকে জীবনব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন।কাজী শামসুল আলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে জনগণ আশাবাদী। তাঁরা বিশ্বাস করে, তাঁর নেতৃত্বে দুর্নীতি, অবহেলা কিংবা স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান থাকবে না। বরং সততা, জবাবদিহিতা ও মানবিকতাই হবে তাঁর মূলনীতি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তিনি যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবেন, তাতে শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন একটি আদর্শিক মডেল হয়ে উঠবে।বর্তমান সমাজে এমন নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ আজকাল প্রায়ই দেখা যায়, অনেক নেতা নির্বাচনের পর জনগণ থেকে দূরে সরে যান, প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যান। অথচ কাজী শামসুল আলম সেই ব্যতিক্রমী মানুষ, যিনি ক্ষমতার মোহ নয়, বরং মানুষের সেবাকে প্রাধান্য দেন। তাঁর জীবন প্রমাণ করে—“সত্যিকারের নেতৃত্ব মানে জনতার জন্য আত্মনিবেদন।” তাই জনগণ দৃঢ় বিশ্বাস করে, তিনি শুধু শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের জন্য এক রোল মডেল চেয়ারম্যান হয়ে উঠবেন।সবশেষে বলা যায়, কাজী শামসুল আলম শুধু একজন প্রার্থী নন; তিনি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর সংগ্রামী এক সৈনিক। তাঁর সহজ-সরল জীবনযাপন, নিঃস্বার্থ সমাজসেবা, দুর্বল মানুষের প্রতি সহানুভূতি এবং সমস্যার সমাধানে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তাঁকে একজন প্রকৃত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, তবে নিঃসন্দেহে শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে এবং তিনি হয়ে উঠবেন জনসেবার এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।