সুকুমার ঋষি পোরশা নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর পোরশা উপজেলা ছাওড় ইউনিয়নের মোঃ হাসিম উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন ৯ গত ৯ অক্টোবর সকালে বাসায় খাওয়া দাওয়া করে আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় বাড়ি থেকে খেলাধুলা করার জন্য বের হয় কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যে মা মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারেন যে সুমাইয়া ইয়াসমিনকে কে বা কার তোরসা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের হীরা ডাঙ্গা গ্রামে মোশারফের আমবাগানে ভিতরে হাত বেঁধে মুখের ভেতর মাটি মাটি দিয়ে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে ভাবে হত্যা করে
ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উধর্বতন কর্মকর্তাগনসহ পোরশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং এ বিষয়ে পোরশা থানায় তাৎক্ষণিক একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পরই। জনম মোঃ সাফিউল সারোয়ার পিবিএম পুলিশ সুপার নওগাঁ মহাদয় সরাসরি তত্ত্বাবধানে এবং মহাদেবপুর সার্কেল নওগাঁ মহোদয় তদারকিতে সংশ্লিষ্ট অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিন্টু রহমানের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযানিক দলে অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ঘটনায় জড়িত তিনজন আসামিকে ১০ই অক্টোবর রাতে গ্রেফতার করা হয়। আটকৃত হলেন। ১। মোঃ মাহবুব আলম (৩০) পিতা মোঃ আব্দুল বারী। ২। শ্রী সুজন (১৯) পিতা বদিনাথ উভয় গ্রাম তুষারপাড়া ৩।নুর আলম (৩০) পিতা মৃত আব্দুর জব্বার গ্রাম পাঁচরাই থানা পোরশা জেলা নওগাঁ। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসা বাদে জানা গেছে যে ভিকটিম সুমাইয়া একটি প্লাস্টিকের সাদা ব্যাগ নিয়ে ধুত আসামি মাহবুব আলম এর কাছে বাগনে পেয়ারা নিতে গেলে পেয়ারার দেওয়ার কথা বলে ভিকটিম কে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে আসামিরা পালাক্রমে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশু সুমাইয়া চিৎকার করলে কাপড়ের মোটা ফিতা গলায় পেচিয়ে হাত বেধে এবং মুখের ভিতর মাটি দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং নৃশংসভাবে হত্যা করে।
মামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিজেদের জড়িয়ে উক্ত আসামিগণ বিঘ্ন আদালতে। স্বীকারোস্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার সাথে চারজন আসামের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজন পালাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষে অতিদ্রুত এ চাঞ্চল্যকর মামলাটি পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা হবে।