বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
করতোয়া নদীর নির্মল জলে নেমেছিল তিন কিশোর- একসাথে হাসতে, খেলতে, সাঁতার কাটতে। কিন্তু মুহূর্তেই বদলে যায় দৃশ্যপট। নদীর স্রোত কেড়ে নিল এক কিশোর প্রাণ। ডুবে যায় হৃদয় হাসান (১৫) ও শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রহমান নগর গ্রামের এক কোমলমতি ছাত্র। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটে এ মর্মান্তিক ঘটনা। নিখোঁজ থাকার দীর্ঘ একদিন পর রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় করতোয়ার বুকে ভেসে ওঠে তার নিথর দেহ। নিহত হৃদয় রহমান নগর এলাকার মোঃ দুলাল মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সকালে হৃদয় তার দুই বন্ধু সৌরভ ও নীরবকে নিয়ে নদীতে গোসল করতে যায়। হঠাৎ নীরব ডুবে যেতে শুরু করলে সৌরভ তাকে টেনে তোলে। কিন্তু সেই মুহূর্তেই পানির গভীরে তলিয়ে যায় হৃদয় আর দেখা মেলেনি তার। স্থানীয়রা সারাদিন চেষ্টা চালিয়েও উদ্ধার করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন। অবশেষে রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থেকে ফায়ার সার্ভিসের দল তার মরদেহ উদ্ধার করে ।পরিবার জানিয়েছে, অসুস্থ দাদাকে দেখতে কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেছিল হৃদয়। কেউ ভাবেনি, সেটিই তার শেষ ফেরা হবে। শনিবার এশার নামাজের পর রহমান নগর কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে। গ্রামের প্রতিটি মুখে আজ শুধু কান্না, প্রতিটি ঘরে নিস্তব্ধতা।
স্থানীয় রহমান নগর গ্রামের খায়রুল ইসলাম বলেন, “হৃদয় ছিল বিনয়ী, পরিশ্রমী ও সবার প্রিয়। তার চলে যাওয়া যেন আমাদের সবার ঘর থেকে আলো নিভিয়ে দিল। গ্রামবাসী প্রার্থনা করেছেন- আল্লাহ যেন এই নিষ্পাপ ছেলেটিকে জান্নাতের মর্যাদা দান করেন এবং শোকাহত পরিবারকে ধৈর্য ধারণের শক্তি দেন।