স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া গতকাল ৬ই ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শহরের সাতমাথা এলাকার টেম্পল রোডে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা জাসদের দুইটি দলীয় কার্যালয় ও আদালত প্রাঙ্গনে ভাংচুরের পর আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। এছাড়াও বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামফলক ভাংচুর করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় যে, গতকাল দিবাগত রাতে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রবেশ করে। তারা ১২তলা ভবনের নীচতলায় শেখ হাসিনার নাম ফলক হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। রাত ৮ টার সময় স্টেশন রোড, নবাববাড়ি সড়ক দিয়ে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা ‘’দিল্লি না ঢাকা’’ ‘‘ঢাকা-ঢাকা’’ ‘’ভুয়া ভুয়া’’ শ্লোগান দিয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে প্রথমে তালা ভেঙ্গে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে কার্যালয় ভাংচুর করা হয়। পরে দ্বিতীয় তলার ছাদে হাতুড়ি দিয়ে ভাংচুর চালানো হয়। পরে তারা অফিসের ভিতর থেকে আসবাবপত্র বাহিরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালও ভাংচুর করে। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগেই টাউন ক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি তার ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজের কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে এরপর বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন জেলা জাসদ কার্যালয় ভাংচুর করে। পরে তারা অফিসের ভিতর থেকে আসবাবপত্র বাহিরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। গতকাল দিবাগত রাত ৯ টার সময় পর্যন্ত বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ও জাসদ অফিসের সামনে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
এছাড়াও দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা স্লোগান দিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এসময় কার্যালয়টির সাইনবোর্ড ভাংচুর করে। এরপরে তারা অফিসের ভিতর থেকে আসবাবপত্র বাহিরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এবিষয়ে বগুড়া পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসার সাথে যোগাযোগ করে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি এবিষয়ে কোন মন্তব্য বা বক্তব্য প্রদান করতে ইচ্ছুক নয়।