স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ায় গতকাল র্যাব-১২ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় যে, গত ২৮শে জানুয়ারি ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনের টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ভিকটিম হৃদয়ের সাথে আসামীদের বিরোধ ও মনো মালিন্যের সৃষ্টি হয়। সেই জের ধরে বগুডা শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া নান্নুমতি মাদ্রাসার পুকুর পাড়ে রবিন ও অন্যান্য আসামীরা ভিকটিম হৃদয়কে উপর্যুপরি ধারালো ছুরি দ্বারা বাম উরুতে, পেটের বাম পাশে এবং নিতম্বের বাম পাশে আঘাত করে। যার ফলে ভিকটিমের বাবা বাবু মিয়া দূর থেকে দেখতে পায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা ডাক চিৎকার শুরু করলে আসামীরা তার ছেলে হৃদয়কে রক্তাক্ত অবস্থায় সরিষা ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে ভিকটিম হাসপাতালে নেয়ার পরপরই মারা যায়।
অতঃপর যার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় গত ২৮শে জানুয়ারি একটি হত্যা মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-৬৮। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্য করের সৃষ্টি হয়। সেই সূত্র ধরে র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মিয়া এর দিক নির্দেশনায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় বগুড়া
র্যাব-১২ ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযান চালানো হয়। এতে ডিএমপি এর উত্তরা পূর্ব থানার ৪ নাম্বার সেক্টর এর ১০ নাম্বার রোডের মাইলেশিয়াম স্কুলের সামনে অভিযান চালিয়ে আলোচিত হৃদয় হত্যা কন্ডের বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার আঃ জলিল এর ছেলে মূল আসামি রবিন (২২) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামির নিকট থেকে ০১টি মোবাইল ফোন, ০১টি সিম ও নগদ ৫শ ৮০ টাকা জব্দ করা হয়।
এবিষয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানায় যে, র্যাব এধরনের ওয়ারেন্ট ভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো জোরদার করা হবে। আইন শৃংখলা বাহিনীর এধরনের তৎপরতা বাংলাদেশকে একটি অপরাধ মুক্ত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে বলে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। উক্ত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী যথাযথ আইনানুগ বিধি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়।