আবুল বাসার মিলন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরণগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর বিজিবি–বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উভয় দেশ সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। তবে পতাকা বৈঠকের পরেও আতঙ্ক কাটেনি সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজনের মধ্যে।
এর আগে আজ (শনিবার) কিরণগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখার পাশে বাংলাদেশের ভেতরের জমিতে গম তুলতে যায় স্থানীয়রা। তখন কিছু ভারতীয় নাগরিকেরা এসে বাধা দেয় এবং কয়েকটি আমগাছ কেটে ফেলে। পরে কিরণগঞ্জ সীমাস্ত থেকে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চোখা সীমান্তের তিন কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত। এ নিয়ে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
খবর পেয়ে সীমান্ত এলাকায় ছুটে যায় স্থানীয় বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক। এর মধ্যেই ভারতের নাগরিকেরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেশ কিছু আমগাছ কেটে ফেলে। এরপর বাংলাদেশিরা একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া করলে ভারতীয় নাগরিকেরা তীর–ধনুক–হাঁসুয়া কাতা নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ককটেল, সাউন্ড গ্রেনেডভর্তি টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার পাশে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা বেশ কিছু গাড়ি নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। তাদের পেছনে হাজার খানিক নাগরিক অবস্থান করছে। এ সময় শূন্য লাইনে অবস্থান করা কয়েকজন বিএসএফ সদস্যের হাতেও বোমা ও সাউন্ড গ্রেনেড দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক হোসেন জানান, শনিবার বেলা ১০টার দিকে কয়েকজন বাংলাদেশি কৃষক গমখেতে পানি দিতে গেলে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হন।
বিজিবি জানিয়েছে, এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ।
বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার ঘটনাটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ।