আবুল বাসার মিলন চাঁপাইনবাবগঞ্জপ্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতের তীব্রতায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা গত কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে বেড়েই চলছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। চিকিৎসকরা জানান, রোটা ভাইরাস ও ঠাণ্ডার কারণে বেড়েছে এসব রোগী। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১২টি শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে।
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী হওয়ায় বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। এর ফলে সুস্থ হতে এসে অনেকেই আরও অসুস্থ হচ্ছে বলে জানান রোগীর স্বজনরা। অন্যদিকে বাড়তি রোগীর কারণে হিমশিম খাচ্ছেন শিশু ওয়ার্ডের ডাক্তার ও নার্সরা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ডায়রিয়া থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে সাবধান থাকা ও গরম পোশাক পরার পরামর্শ দেন। মেঝেতে থাকার বিষয়ে তিনি জানান, কোনো রোগী যেন মেঝেতে না থাকে, সেই বিষয়ে কাজ চলমান আছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে ঠাণ্ডার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু স্বাভাবিকভাবে ভর্তি হলেও গত তিন-চার দিনে প্রতিদিন ৭০থেকে ৮০ জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন এর বেশি শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২ শয্যায় গাদাগাদি করে জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে তারা।
চিকিৎসা নিতে আশা রোগীদের অভিভাবকরা বলছেন, হঠাৎ করেই তদের বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা বা বমি শুরু হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসক ও নার্স কম থাকায় যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। মেঝেতে শুয়ে থেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে রোগী ও স্বজনরা। আর নার্সরা বলছেন, জনবলসংকট হওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। দ্রুত নার্সসহ অন্য জনবল নিয়োগ দেবেন স্থানীয় প্রশাসন।
হাসপাতালের নবগজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেজাউল করিম জানান, হঠাৎ রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হচ্ছে শিশুসহ অন্যদের। বেশি রোগীর কারণে বেডে জায়গা না পেয়ে মেঝেতে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে। অল্প জনবলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিশু ওয়ার্ডের ডাক্তার ও নার্স।