নিউজ ডেক্স, আমার দেশ প্রতিদিন
প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই নিজেকে কুমারী বলে দ্বিতীয় বিয়ের পিরিতে বসলেন আসফানা নামের তরুনি।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরাম পুর ইউনিয়নের ক্রোকির চর গ্রামের আসলাম হোসেন ও রোকসানা দম্পতির মেয়ে সরদার আফসানা ইফতির পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ইতালি প্রবাসী তালুকদার মেহেদী পিতাঃ আব্দুর রব তালুকদার মাতাঃ রেবেকা, গ্রামঃ বরাইল বাড়ী, পেয়ারপুর,মাদারীপুর এর সঙ্গে ।
সরদার আফসানা ইফতি ও তালুকদার মেহেদী এর বিবাহ হয় চলতি বছরের ০৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচ লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য করিয়া এক লক্ষ টাকা ওয়াসিল দিয়া দুই লক্ষ টাকা নগদ পরিশোধ ও দুই লক্ষ টাকা বাকী রাখিয়া বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু সরদার আফসানা ইফতি প্রথম বিয়ে গোপন রেখে নাম শুধু আফসানা এবং নিজেকে অবিবাহিত বলে তাইজুল ইসলাম পিতাঃ মোবারক সরদার মাতাঃ হাসনা হেনা,গ্রামঃ কালাই সরদারের চর, পোঃ এনায়েত নগর, কালকিনি, মাদারীপুর এর সাথে চলতি বছরের পহেলা এপ্রিল এক লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া এক লক্ষ টাকা নগদ পরিশোধ করিয়া পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়।
বিবাহের কয়েকদিন পরে দ্বিতীয় স্বামীর কাছে প্রথম স্বামী তালুকদার মেহেদী জানতে চান সে তার স্ত্রী সরদার আফসানা ইফতি কে কিভাবে বিয়ে করলেন কারন সরদার আফসানা ইফতি তো আমার (তালুকদার মেহেদী) বৌ।
তখন তাইজুল ইসলাম বিবাহের প্রমান চাইলে তালুকদার মেহেদী ও সরদার আফসানা ইফতির বিবাহের কাবিন ও বিবাহের বিভিন্ন ছবি পাঠান।
তাইজুল ইসলাম বুঝতে পারেন তার সাথে প্রতারনা করা হয়েছে।
তাইজুল ইসলাম বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে চলতি বছরের ১৯ জুন আদালতের মাধ্যমে আফসানাকে তালাক প্রদান করেন।
এদুটো বিবাহের মূল ভূমিকায় ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন,নাজির, কালকিনি উপজেলা পরিষদ।
আফসানা এর বাবা সরদার আসলাম আদালতে চাকুরী তাই সে এবং সাবিনা দুজনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দশ লক্ষ টাকার একটি ভূয়া কাবিন তৈরি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটা মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ করেন তাইজুল ইসলাম।
ইতালি প্রবাসী তালুকদার মেহেদী বলেন আমি আফসানা ইফতি কে বিয়ে করেছি কিন্তু সে আমাকে তালাক না দিয়েই অন্য কাউকে বিয়ে করে কিভাবে? আমি এর বিচার চাই।
তাইজুল ইসলাম বলেন আমার সাথে যে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে সেখানে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় একলক্ষ টাকা এবং একলক্ষ টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়েছে।
এখন আমার সই নকল করে ভূয়া একটি দশ লক্ষ টাকার কাবিন তৈরি করে আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একটি মামলা করা হয়েছে।
বিয়ের প্রধান সাক্ষী সাবিনার কাছে জানতে চাওয়া হয় একটা মেয়ের কাবিন কয়টা হয়?
একটা মেয়ের একটা বিয়ে হওয়ার পরে দ্বিতীয় বিয়েতে অবিবাহিত বলে বিয়ে দেয়া প্রতারণা কিনা?
সাবিনা বলেন আমি দুটো বিয়েতে উপস্থিত ছিলাম কিন্তু কাবিনে কি লিখেছে তা আমি বলতে পারিনা।
একটা মেয়ের বিয়ে হলো দুই টা কাবিন তিনটা হয় কি করে?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আদালতে মামলা হয়েছে এখন তা আদালত-ই বুজবে।
আফসানা ইফতির বাবা সরদার আসলাম বলেন আদালতে মামলা হয়েছে এখন যা হয় আদালতে হবে।
সরদার আফসানা ইফতি এর বাড়ীতে কথা হয় তার দাদা, দাদী ও সৎ মায়ের সাথে তারা জানান বিয়ে হয়েছে ঠিক আছে কিন্তু আমরা তেমন কিছু জানিনা সব কিছু যানে ইউএনও অফিসে চাকুরী করে সাবিনা, সে সব কিছু জানে। সে-ই ইফতির মূল অভিভাবক।
উল্লেখ্য সরদার আফসানা ইফতির বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে সরদার আফসানা ইফতি এর মাকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ী উপজেলার ক্রোকির চর গ্রামে বসবাস করেন।