পাবনা প্রতিনিধি: সুজানগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত সোহেল রানা মানিক। মানিক পাবনার সুজানগর পৌরসভার ভবানী পুর মহল্লার আমেরিকা প্রবাসী আব্দুল গনির ছেলে।গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে সুজানগরে এসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন জায়গাতে নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আসছে।এই পরিচয় কে পুঁজি করে এলাকার সালিশ দরবার করে বেড়াচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সাথে অনৈতিক ভাবে সালিশ দরবারে সাধারণ মানুষকে চাপ প্রয়োগ করে টাকা নেওয়া অভিযোগ ও পারিবারিক সালিশ সহ এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মজিদ নামক এক ব্যক্তির পারিবারিক সালিশ কে কেন্দ্র করে এলাকার প্রধান দের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি এই এলাকার সমন্বয়ক ও ছাত্রদের প্রধান আমাকে ছাড়া সালিশ হয় কি করে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের সালিশ দরবার করে টাকা উপার্জন করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী একাধিক ছাত্র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, ছাত্র জনতার আন্দোলনে মানিকের কোন ভূমিকা নেই। ওনার ফেসবুক আইডি দেখলেই বুঝতে পারবেন,গত ৫ আগষ্টের আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণে কোন পোস্ট বা ছবি নেই। মানিক ঢাকায় থাকতেন, হঠাৎ করে এলাকায় এসে তার ছোট ভাই ও এলাকার কিছু ছেলেদের নিয়ে সব জায়গাতেই নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আসছে। তারা আরো জানান, প্রথমে পাবনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির সমন্বয়ক
বরকত উল্লাহ (বাংলা), মাহবুব সরদার (হিসাব বিজ্ঞান),এস এ এম সৈকত (পদার্থ বিজ্ঞান), মামুন আল হাসান (হিসাব বিজ্ঞান), ইউসুফ আরকান বিপ্লব (অর্থনীতি), আসিফ আহমেদ (গণিত), মিনহাজ হোসেন (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), রাসেল আহমেদ (রাষ্ট্র বিজ্ঞান), সাবরিনা শিরীন (বাংলা), শাওন হুসাইন (ইসলামের ইতিহাস),অন্ত কাজী (পদার্থ বিজ্ঞান)।
সহ সমন্বয়ক
নাবিল মাহমুদ (বাংলা), রাকিবুল ইসলাম (রাষ্ট্র বিজ্ঞান), শফিকুল ইসলাম শাকিল (গণিত), জাকারিয়া (পদার্থ বিজ্ঞান), মিজানুর রহমান (সমাজ বিজ্ঞান), ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (ব্যবস্থাপনা),সিরাজুম মনিরা (বাংলা), জাকিয়া সুলতানা জোতি (দর্শন), বাদশাহ ফাহাদ (ইংরেজি),মিতা পারভিন (গণিত), আব্দুল আলিম (সমাজ বিজ্ঞান)। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা পাবনা প্রোগ্রাম করে সমন্বয়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। ঐ কমিটির অন্ত কাজী জানান,কেউ কোথাও সমন্বয়ক পরিচয় দিতে পারবে না। এখন থেকে সবাই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করবে।এ বিষয়ে মানিকের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে তার কোন বক্তব্যে পাওয়া যায় নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী একাধিক ছাত্র জানান, উক্ত মানিক নিজেকে সমন্বয়ক ও ছাত্রদের প্রধান পরিচয় দিয়ে অনৈতিক কাজ কর্মে লিপ্ত হয়েছে। এতে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।