স্টাফ রির্পোটারঃ সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর ছত্র ছায়ায় এখনো চুনারুঘাট মসজিদ মার্কেট বিনা ভাড়া,নিজ দখলে রেখেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এবং আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই প্রিন্স।বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার পুলিশের সাথে কথা বললেও কোন কাজ হয়নি, বহাল তবিয়তে রয়েছে আব্দুল হাই প্রিন্স। মসজিদ মার্কেটটি নির্মাণের সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ওসিদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে তিনি দুই টি দোকান বরাদ্দ নেন এবং মার্কেটের ভাড়া উত্তোলন করেন নিজেই।তবে কখনো উনার নিজ দোকানের ভাড়া প্রদান করেননি।এমনটাই জানালেন থানা মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও মোয়াজ্জিন।ভুক্তভোগী কয়েকজন দোকানদার জানান,সন্ধ্যা হলেই আব্দুল হাই প্রিন্সের দোকানে বসে রসের আড্ডা।আড্ডায় মিলিত হয় এলাকার কয়েকজন নষ্ট মহিলারা।যাদের চলাফেরা ও কার্যকলাপে অতিষ্ঠ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি টানিয়ে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের লোগো ব্যবহার করে প্রতারণায় যেন তার আসল কাজ।তার এ কাজে সহযোগিতা করেন চুনারুঘাটের কয়েকজন আওয়ামী পন্থী নেতা ও সংবাদ কর্মী।বিষয়গুলো নিয়ে কয়েকবার অভিযোগ দিলেও চুনারঘাট মাধবপুর সার্কেলের এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর সহায়তায় পার পেয়ে যান।ছাত্র জনতার গণঅদ্ভুত্থানের পর আব্দুল হাই প্রিন্স নতুন রূপে, নতুন সাজে আবারো মাটে কাজ শুরু করেছেন।
আহাম্মদাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি,আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি, চুনারঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সহ অসংখ্য পদধারী আব্দুল হাই প্রিন্স কখনো সাংবাদিক কখনো থানার দালাল হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।নিজস্ব বন্দুক দিয়ে ব্যাংকে সিকিউরিটি গার্ডের নামে মাত্র চাকুরির আড়ালে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোস্তফা শহীদ থেকে শুরু করে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী পর্যন্ত একটানা ১৭ বছর তিনি করেছেন উচ্চ পর্যায়ের দালালি।একসময় নানার বাড়িতে বেড়ে ওঠা শূন্য থেকে এখন বিলাসবহুল বাড়ি ও শহরের ফ্লাটে ভাড়া থাকেন চুনারুঘাট উত্তর বাজারে।আব্দুল হাই প্রিন্সের কুঠির জোর কোথায়?এটাই এখন জনমনে প্রশ্ন জেগেছে?