নিজস্ব প্রতিনিধি::
রাজশাহীর বাগমারায় মাদক ব্যবসিকের ইশারায় মাদকসেবীদের চাঁদা না দেওয়ায় মুগাইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের দোকানে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করে দোকানঘর ও প্রাইভেটকার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে মামলা ।
১২ আগষ্ট ২০২৪ সোমবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি আবুল কালাম, আলীমুদ্দীন ও মাহফুজসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছেন।
১৪ আগষ্ট ২০২৪ বুধবার থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে মাদককারবারিরা এই ঘটনা ঘটায়। মামলার তদন্ত চলছে আসামী গ্রেফতার দ্রুত করা হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুগাইপাড়া উচ্চে বিদ্যালয়েরশাথ প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের কাছে আবুল কালামসহ এলাকার কয়েকজন মাদককারবারি সাথে নিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় গত ৮ আগস্ট সকালে ১ নাম্বার আসামী আবুল কালামের নেতৃত্বে এলাকার ২৫-৩০ জন মাদককারবারি প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের মুগাইপাড়া বাজারের অর্পা-অর্পিতা নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। হামলাকারিরা দোকানের বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং অগ্নিসংযোগ করে দোকান ঘর পুড়িয়ে দেয়।
এ সময় দোকানের সামনে রাখা প্রধান শিক্ষকের একটি প্রাইভেটকারও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর প্রধান শিক্ষকের লিজ নেওয়া একটি পুকুরে বিষ দিয়ে ওই পুকুরের সব মাছ ধরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এলাকাবাসীর বলেন, এরা শুধু এখানে নয় বাগমারা থানা সহ অনেক জনের বাসায় হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। সরকারী কর্মকর্তা ও বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে চাঁদা চাই নয়ত বাসায় হামলা হবে। ৫ তারিখ থেকে এরা লাখ লাখ টাকা অনেকের কাছে চাঁদা তুলেছে এখনও এদের লোভ থামছে না। দেশের আইন পরিস্থিতি একটু দুর্বল হওয়ার সুযোগে এরা এমন করছে। এদের আগে কিছুই ছিলো না এখন কোটি টাকার মালিক। সুজন বড় একটা মাদক ব্যবসায়ীর সে মাদক সেবীদের সাথে নিয়ে এই রকম করে বেড়াচ্ছে।
এছাড়া এলাকাবাসী আরও জানান, উল্লেখিত মামলার এক নং আসামী মোঃ আবুল কালাম আজাদের বড় মেয়ের জামাই মোঃ জাকির হোসেন, যিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে পঞ্চগড় সদর উপজেলা কর্মরত। সে চাকুরী পাওয়ার আগে তাঁর মা হোস্টেলে রান্নার কাজ করত আর তাঁর বাবা মানুষের দোকানে অল্প বেতনে চাকুরী করত। সেই আড়াল থেকে এদের সাপোর্ট দিয়ে থাকে। টাকা দিয়ে প্রশাসন ম্যানেজ সহ আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলেছে। তার আয় বহিভূত অর্থ ব্যবহার করে ছোট মেয়ের জামাই মোঃ কামরুল হাসান যিনি সিপাহী হিসেবে কর ভবনে কর্মরত ঢাকা আগারগাঁ শাখায়। কামরুল ইসলামের নামে ঢাকার পল্লবীতে দেড় কোটি টাকায় ফ্লাট ক্রয় ও এক কোটি টাকা ব্যয়ে মোন্নাফির মোড় রাজশাহীতে পাঁচ কাঠা জমি সহ বাড়ি ক্রয় করে। চাঁদাবাজির মেইন হোতা তাঁদের শশুর আবুল কালাম আজাদ এক সময় জেলে ছিলো মানুষের পুকুরে মাছ ধরে সংসার চালাতো সে এখন বিশ লক্ষ টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মান , দোকান এবং মাছ ব্যবসায় বিশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে। এছাড়াও আবুল কালাম এর পোষ্য ছেলে মোঃ সুজন এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট। তার মালামাল বহনের জন্য পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকার ট্রাক,বাড়ি নির্মানে বিশ লক্ষ টাকা এবং মাদক ব্যবস্যায় বিনিয়োগ এক কোটি টাকা। এছাড়া সুদে টাকা খাটাই সেই টাকা মানুষের কাছে জোরপূর্বক আদায় করে নয়ত জমি দখল নিয়ে বসে থাকে । এসব সবই আবুল কালাম আজাদ সহ তাঁর দুই জামাই এর যোগসাজসে হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে গত মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগ এলাকাবাসির পক্ষে জমা দেওয়া হয় বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। আবুল কালাম তার বড় জামাইয়ের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় মাদক,ঘুষ,দুর্নীতি,লুটপাট সহ নানান অপ কর্মের সাথে জড়িত বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।