মুরাদ খান মানিকগঞ্জ থেকে
সিংগাইরে সেনাবাহিনী সহযোগিতায়চারিগ্রামের সমদিনের ভয়ংকর ফাঁদ থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণী এক মেধাবী ছাত্র।
রবিবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে দশটার দিকে এই ঘটনার সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাহাদ হোসেন। সে চারিগ্রামের আসামুদ্দিনের ছেলে। এবং সে এস এ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাতে মোবাইল ফোনে বন্ধুদের ডাকে সাড়া দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এতে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে। ফাহাদকে বেধরক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে একটা খেলনা পিস্তল হাতে ধরিয়ে সেনাবাহিনীর নিকট সোপর্দ করে। পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জিম্মায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
চলমান ডাকাত আতঙ্কের ধারাবাহিকতায় এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে ফাহাদ জানান, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ সাগর, মোঃ ইকবাল হোসেন ও মোঃ পারভেজসহ ১০-১২ জন বন্ধু মোবাইলে ডেকে রাত ৯ টার দিকে আওয়ামীলীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান মোঃ রিপন হোসেনের (দাশেরহাটি গ্রাম) বাড়ির পাশে ঘুরতে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে ধাওয়া করলে অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আমি পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যাই। তারা আমাকে বেধড়ক মারপিট করে ডাকাত প্রমাণের জন্য খেলনা পিস্তল হাতে ধরিয়ে সেনাবাহিনীকে খবর দেয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফাহাদের চাচাতো ভাই মোঃ নয়ামিয়া বলেন, এলাকাবাসী সবাই জানে আমার চাচাতো ভাই ফাহাদ অত্যন্ত ভালো এবং নম্র ভদ্র ছেলে । যাদের ডাকে সে ঘটনাস্থলে এসেছে ওই গ্রুপের ছেলেরা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের ডাকে এসেই আমার ভাইয়ের কপালে এই অবস্থা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমার নির্দোষ ভাইয়ের মারধরের বিচার চাই।
চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান মোঃ রিপন হোসেনের বলেন, এই গ্রুপটিই ইউনিয়ন পরিষদ ও আমার ব্যক্তিগত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাঙ্গচুর করে। এরাই গতরাতে আমার বাড়িতে হামলা করতে আসলে স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহ আটক করে তাদের সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে যোগাযোগ করলে নাম না বলার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, ডাকাত আটকের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। ওই শিক্ষার্থীকে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার সূচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিংগাইর থানার ওসি মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই।