স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ায় র্যাবের যৌথ অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-১২ বগুড়া ও র্যাব-২ মোহাম্মদপুর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ জুলাই জানতে পারে যে,যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী বগুড়া জেলার সোনাতলা থানায় অবস্থান করছে। এসময় র্যাব-১২ বগুড়া ও র্যাব-২ মোহাম্মদপুর এর যৌথ অভিযানে সোনাতলা কলেজ স্টেশনের সামনে অভিযান চালিয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জয়পুরহাট পাঁচবিবি থানার জোড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহেল (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায় যে,অত্র মামলার ভিকটিম আলী হাসান @ বাবু (প্রভাষক শহরগাছী আদর্শ মহাবিদ্যালয়, গোবিন্দগঞ্জ) শিক্ষকতার পাশাপাশি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার পাইকর দড়িয়া গ্রামস্থ ইটের দরগা নামক স্থানে স্টক ব্যবসা করতো। গত ১৮জুন/০৯ ইং যথারীতি ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাসা যাওয়ার সময় কাকরা ব্রিজ নামক স্থানে দুস্কৃতিকারীরা আসামীগণ পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রাস্তায় রশি দ্বারা ভিকটিমকে আটকায়ে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় এবং ভিকটিমকে গলায় রশি পেঁচিয়ে মারপিটসহ খুন করে ব্রীজ হতে আনুঃ ১০০ গজ দূরে হারামতি নদীর মধ্যে মৃত দেহসহ মোটরসাইকেলটি পানিতে ফেলে দেয়। দুস্কৃতিকারীরা ভিকটিমের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই,ছেলে ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন খোঁজাখুজি করে পাইকর দড়িয়া কাকড়া ব্রীজ হতে আনুমানিক ১০০ গজ দূরে হারামতি নদীর মধ্যে মৃতদেহসহ মোটরসাইকেলটি খুঁজিয়ে পায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা অত্র মামলার সন্দিগ্ধ আসামী আসাদুলকে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানা হতে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে ঘটনার সহিত জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। অত্র মামলার বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত গত ০৩আগস্ট/২৪ ইং তারিখে ধৃত আসামী সোহেলকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। এবিষয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানায় যে,উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত বিধি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।