রাজু আহম্মেদ,গজারিয়া প্রতিনিধিঃশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, এবং শিক্ষক হলো জাতির মেরুদণ্ডের কারিগর একজন শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীর জীবনে অনেক রকম ভাবেই প্রভাবিত করেন। যেমন শিক্ষার্থীর মেধা, মনন, জ্ঞান অর্জনে সহায়তা, জীবনাচরণ থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি স্তরে তাঁর নিজস্ব চিন্তার ছাপ ফেলেন। তাই একজন ছাত্র কিংবা ছাত্রীর শিক্ষা অর্জনের জন্য তাকে শেখানো শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম হয়ে থেকে যায় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। জেলা, উপজেলা,এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবছরি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এর এবারের উপজেলা পর্যায়ে গজারিয়া উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সরদার শফিকুল ইসলাম। জানা যায় তিনি সত্যতা ও নিষ্ঠার সাথে ২০১৪ সাল থেকে শিক্ষকতা পেশায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করে দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায় তিনি আন্তরিকতার সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণের মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে, তাদের কে আলাদা যত্ন নিয়ে পড়াশোনা করিয়ে দূর্বলতা এবং জড়তা কাটানোর মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে। হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাতা জীবনের দীর্ঘ এ পথে বেশ সুনামের সাথে অতিবাহিত হতে চলেছ।
তাছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে একজন শিক্ষাক হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে যেমন জনপ্রিয় তেমনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সকল সহকারী শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির নিকটও তিনি খুব পছন্দের ব্যক্তি।
তিনি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এর গজারিয়া উপজেলার সকল শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় বিদ্যালয়টির শিক্ষাও শিক্ষিকাসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সরদার শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকতা পেশা একটি মহান পেশা। যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানোর জন্য সুশিক্ষিত জাতি তৈরি করা হয়। সেই পেশার সাথে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পেরে গর্বিত।তিনি আরো বলেন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার মনোভাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করাননি। এবং অর্থ উপার্জন করতে হবে সেজন্য ও এ শিক্ষকতা পেশায় আসেননি, এসেছেন মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য। শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান মনে করে পড়াশোনা করাতেও চেষ্টা করেন বলে জানান তিনি।