লাবলু বিশ্বাস
পাবনা জেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২.১
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মাত্র ১৬ ভোট কম পেয়ে অপরাজিত হন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। গত শুক্রবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জয়ী হয়েছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল।
নিপুণদের হারে সবচেয়ে বেশ খুশি হয়েছেন চিত্রনায়িকা মুনমুন।
গতবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায় মুনমুনের সঙ্গে। নির্বাচনের দিন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খানের সঙ্গে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সৃজিত স্বস্তিকাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন,
বিষয়টি নিয়ে জায়েদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, জায়েদ খানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে ভরেছেন এই অভিনেত্রী; যা নিয়ে গত বছর ব্যাপক সমালোচনা হয়
মুনমুনের দাবি ছিল, নির্বাচনের দিন জায়েদ খানের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় তিনি ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে টাকা নয়, নিজের ব্যবহৃত কালো মাস্কটি রেখেছিলেন তিনি।
তবুও অভিযোগ থেকে রেহাই পাননি। ‘টাকা নেওয়ার’ অভিযোগে অসম্মানিত হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে ।
অভিমানে এবার আর শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দেননি এই অভিনেত্রী। তবে নিপুণদের হারে বেশ খুশি হয়েছেন তিনি।
৭ জনকে ৮ বার বিয়ে করেছিলেন এই অভিনেত্রী৭ জনকে ৮ বার বিয়ে করেছিলেন এই অভিনেত্রী
মুনমুন বলেন, ‘আমি যে লজ্জা পেয়েছিলাম সেই লজ্জায় এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে যাইনি। আমাকে শুধু অপদস্থ নয়, তাদের (নিপুণ) লোক দিয়ে আমার নামে ভিডিও বানিয়েও অনেকভাবে অপদস্থ করেছিল। সেজন্য দুই বছর ধরে এফডিসিতে পা রাখছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে শিল্পীদের মিলনমেলা। দুই বছর পরপর প্রিয় সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয়। আনন্দ-আড্ডায় কাটে দিনটি। কিন্তু গত দুই বছর যে নোংরামি হয়েছে এবার তার জবাব দিয়েছেন সাধারণ শিল্পীরা। শিল্পী সমিতি পেয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব। মিশা-ডিপজল সহ তাদের কমিটির জয়ে আমি খুবই আনন্দিত। ঈদের চেয়েও বেশি খুশি লাগছে।’
শাবনূরকে চিনতে পারলো না পুলিশ!শাবনূরকে চিনতে পারলো না পুলিশ!
১৯৯৬ সালে ‘মৌমাছি’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় কাজ শুরু করেন মুনমুন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। সর্বশেষ তাকে ‘রাগী’ সিনেমায় দেখা যায়।
শিল্পীর কোনো ভূগোল বা সীমানা থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। তার ভাষ্যে, আমি এই বাংলাতে কাজ করেছি এখন ওপার বাংলাতেও কাজ করছি। একজন শিল্পী যদি ওপারে বা অন্য কোথাও ডাক পায় তাহলে সে সেখানে কাজ করবে, করতেই পারে।
নিপুণের পরাজয়ে ব্যাপক খুশি মুনমুন নিপুণের পরাজয়ে ব্যাপক খুশি মুনমুন
কিছুদিন আগেই ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে চতুর্থবারের মতো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য যখন আমি কোনো পুরস্কার পাই আবার সেটা যখন ভিনদেশের মাটিতে হয় তখন আমি নিজে যতটা আনন্দিত হই তার চেয়েও বেশি হই এই কারণে যে, বাংলাদেশের হয়ে একটি পুরস্কার হাতে নিতে পেরেছি। শুধুমাত্র আমি একা নই, এবার কিন্তু আমাদের দেশের আরও অনেকেই নমিনেটেড হয়েছেন এবং কেউ কেউ পুরস্কারও পেয়েছেন। এটাও কিন্তু একটা বড় বিষয়, আমার কাছে মনে হয়। এটাও আমাদের কাউন্ট করা উচিত।’
হিন্দি চলচ্চিত্রের আমদানি ঠেকাবহিন্দি চলচ্চিত্রের আমদানি ঠেকাব
দুই বাংলায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি কোন দিক দিয়ে এগিয়ে আছে বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে জয়া আহসান বলেন, ‘আমরা এগিয়ে আছি সাহসের দিক দিয়ে। ঢাল নেই তলোয়ার নেই, আমরা নিধিরাম সর্দারের মতো আমরা আমাদের গল্পটা জানান দিতে চাই। কাজের প্রতি আমাদের ভালোবাসাটা দেখাতে চাই। এদিক থেকে মনে হয় আমরা অনেক সাহসী, সেটা জাতিগতভাবেই। বায়ান্ন থেকে শুরু করে একাত্তর, সবকিছুতেই আমাদের সাহসের অভাব নেই। অন্যদিকে ওপার বাংলার তারা একদম গুছিয়ে কাজ করতে পছন্দ করে। পরে কী হবে সেটা তারা আগে থেকেই দেখতে পায়।’