লাবলু বিশ্বাস
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বাঙালি জাতির অহংকার ও গর্ব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী। প্রতিবছর এই দিনটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় শিশু দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়।
ঈশ্বরদী সহ সারা দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংসঠন এবং বিভিন্ন অফিস আদালত, সামাজিক,, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি নানা কর্মসূচি পালন করছেন।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলা গোপালগঞ্জ টুংগীপাড়া জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর বাবার নাম শেখ লুৎফর রহমান, মাতার নাম সায়মা খাতুন।
পবিত্র মাহে রমজানের কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি সীমিত আকারে পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহরের স্টেশন সড়কে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী নানা চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্বশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চুড়ান্তপর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়।
এ আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ তৎকালীন রেষকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রে কন্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম. এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু বেশি দিন দেশ গঠনের কাজ করে যেতে পারেননি। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের ভোর রাতে নিজ বাসভবনে ক্ষমতালোভী ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরে মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জীবনাবসান ঘটে।