স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ায় র্যাব-১২ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় যে,সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতলা শাহাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনর স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৫৫) বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তার ছেলে আজহারুল ইসলাম শান্ত (২৪) সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে ডিগ্রী প্রথম বর্ষে লেখা পড়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের কাজ করতো। গত ২রা মার্চ বিকাল অনুঃ সারে ৪টার সময় তার ছেলে শহরের চকফরিদ মহল্লার এতিম খানা রোডের মোস্তফা লজ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্র এজাহারনামীয় ১১ জনসহ অজ্ঞাতনামাসহ ৮/১০ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে ঘটনা স্থলে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব-১২ বগুড়ার গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ই মার্চ র্যাব-১২ বগুড়ার একটি আভিযানিক টহল দল চেলোপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বগুড়া মালতিনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আঃ হান্নানের ছেলে আসামী রাতুল (২২) গ্রেফতার করে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,ধৃত আসামীরা তিন ভাই। তার ভাইদের সাথে ভিকটিমের পূর্ব শত্রুতা ছিল। কিছু দিন পূর্বে তার ভাই ও মামাকে ভিকটিমের লোকজন চাকু মেরে ছিল। মূলত এর প্রতিশোধ নিতেই তার ভাই ও ভাইয়ের বন্ধু-বান্ধব মিলে শান্তকে হত্যা করে। এবিষয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানায় যে,উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত বিধি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।