স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া গতকাল বুধবার পারিবারিক কলহে দুই সন্তানের জননীকে নির্যাতনের পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল লাশ। ঘটনার পর থেকেই গৃহবধূর স্বামী ও ভাসুর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালশন গ্রামে। নিহত লাভলী বেগম লিবেন (৩৩) উপজেলার উথরাইল জাহানাবাজ গ্রামের আনছার আলীর কন্যা। আসামীরা আদমদীঘির তালশন গ্রামের তাছের আলীর ছেলে মাছ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ও তার ভাই দুলাল মন্ডল। গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পরপরই দু’জন পালিয়ে যায়। আসামীদের গ্রেফাারের চেষ্টা করছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ৫ই মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তালশন গ্রামে স্বামীর শয়ন ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামীর নির্যাতনে ও প্ররোচনায় গলায় ওড়না পেচিয়ে ওই নারী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মাছ ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের সাথে লাভলীর প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো। ঘটনার দিন সকালে আবারো কলহ হলে লাভলীকে শারীরিক নির্যাতন করে তার স্বামী কাশেম। শয়ন ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস অবস্থায় ঝুলছিল লাভলী। স্বজনরা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত ঘোষনা করে। অন্যদিকে লাভলীর বাবা আনছার আলী অভিযোগ করেন,তার কন্যা নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় এবং ভাসুর তাকে প্ররোচিত করায় সে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার দিন সকালে তার কন্যাকে শারীরিক নির্য়াতন করার সংবাদ পেয়ে তিনি তালশন গ্রামে জামাইয়ের বাড়িতে যান। ঘটনা জানার চেষ্টা করলে জামাই আবুল কাশেম তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এবিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান যায় যে, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার কন্যার স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা তিনি।