স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ায় গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় যে,সিগারেট খাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার ঘটনায় শায়েস্তা করতেই হত্যা করা হয় স্কুল ছাত্র নাসিমকে। এঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক এবং সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ী পশ্চিম পাড়া এলাকার আ: জলিল মণ্ডলের ছেলে ফিরোজ ইসলাম। তাদের মধ্যে এনামুল নাসিমের মামাতো ভাই এবং ফিরোজ সম্পর্কে চাচা। গত সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে গাবতলী উপজেলার ঈশ্বরপুর পূর্বপাড়ায় বসতবাড়ির মুরগির খোয়ারের মাটিতে পুঁতে রাখা নাসিমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাসিম সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকার ওয়াজেল মণ্ডলের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। এবিষয়ে পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ জানায় যে,কিছুদিন আগে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে নাসিমের সঙ্গে আসামীদের বাকবিতণ্ডা হয়। সেই থেকে আসামীরা নাসিমকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী রাতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নাসিমকে কৌশলে ডেকে নেন তারা। পরে তারা গাবতলীর ঈশ্বরপুর গ্রামে এনামুলের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর নিয়ে নাসিমের হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করেন। এসময় নাসিম চিৎকার করলে আসামীরা গলা ও মূখ চেপে ধরে শ্বাস রোধে হত্যা করে। এরপর তারা নাসিমের মরদেহ এনামুলদের বাড়ির মুরগির খোয়ারে বস্তাবন্দি করে মাটির নিচে পুঁতে রাখে। তিনি আরও জানান,ঘটনার কয়েকদিন পর আসামীরা নাসিমের বাবার মোবাইলে নাম্বারে যোগাযোগ করে মুক্তিপণের জন্য ৮০হাজার টাকা দাবি করেন। সেই সূত্র ধরেই আসামীদের গ্রেফতার এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে নাসিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ এঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।