যশোর শহরের গোহাটা রোডের সিটি আবাসিক হোটেলে ঢুকে চাকু ঠেকিয়ে একজন প্রকৌশলীর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনসেট ছিনতাইয়ে জড়িত দুই দুর্বৃত্ত আটক হয়েছে। বুধবার তাদেরকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনসেট এবং দুর্র্বৃত্তদের ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- শহরের সিটি কলেজ পাড়ার আব্দুল বারেকের ছেলে শুকুর আলী ও সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে রকিবুল ইসলাম রকি ওরফে হৃদয়।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ভুক্তভোগী মুন্নাফ হোসাইন জানান, তিনি গ্রামীন ফোন কোম্পানির সিস্টেম প্রকৌশলী হিসেবে যশোরে কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন উপজেলায় তাকে কাজে যেতে হয়। কাজ শেষে তিনি রাতে সিটি হোটেলে অবস্থান করেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তিনি বাঘারপাড়ার চারাভিটার গ্রামীন ফোন টাওয়ারের কাজ শেষে যশোরে ফিরে আসার পর ফের সিটি হোটেলে ওঠেন। ৬ তলার ৬০৩ নম্বর রুমটি ভাড়া নেন। রুমে ঢোকার পর দরজা আটকে দেয়ার এক মিনিটের মাথায় বাইরে থেকে নক করা হয়। এ সময় তিনি দরজা খুলতেই ভেতরে ঢুকে দুই যুবক তার গলায় চাকু ধরে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা তার কাছে থাকা দুইটি মোবাইল ফোনসেট, একটি ল্যাপটপ ও মানিব্যাগ নিয়ে সটকে পরে। এ ঘটনায় তিনি ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
ডিবি পুলিশের এসআই মো. মফিজুল ইসলাম জানান, তারা সিটি হোটেলের নিচের একটি প্রতিষ্ঠানে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের শনাক্ত করেন। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে বুধবার ভোরে সিটি কলেজ পাড়ায় শুকুর আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক এবং তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুইটি চাকু এবং ছিনতাই হওয়া একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকেলে মণিহার এলাকা থেকে হৃদয়কে আটক করেন তারা। পরে তার কাছ থেকে আরেকটি মোবাইল ফোনসেট ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত দুই ছিনতাইকারী মুন্নাফ হোসাইনকে অনুসরণ করে ওই হোটেলে ঢোকে।
মঈন উদ্দীন
এডিপি বাংলা
যশোর।