স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ায় গতকাল গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পেরিহাটের আগুনিয়ার টাইড় দাখিল মাদ্রাসার অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে কমিটি গঠন করায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা ইয়াসমিন,বগুড়া। বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডে গত ৬ই ফেব্রয়ারী জারিকৃত প্রজ্ঞাপন মোতাবেক উক্ত আগুনিয়ার টাইড় দাখিল মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটি ঘোষনা করে। এই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে ও উক্ত মাদ্রাসায় নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ভোট না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে অভিভাবক সদস্য পেরী গ্রামের আলতাফ আলী প্রমানিকের ছেলে সোয়াইব হোসেন মাদ্রাসা বোর্ডে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাই বোর্ডের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ও রেজিষ্টার প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ আমলে নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক সুস্পষ্ট মতামত ও প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা ইয়াসমিনকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন। তিনি গত ৪ই মার্চ সোমবার পেরিহাটের আগুনিয়ার টাইড় দাখিল মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে,প্রকাশ্যে ও গোপনে দীর্ঘক্ষন তদন্ত করে,মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) সুপার মোজাফফর রহমান,শিক্ষকবৃন্দ,অভিযোগকারী সোয়াইব হোসেন,সাবেক সভাপতি আলতাফ আলী,প্রফেসর বাবুসহ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের মতামত শোনেন এবং লিখিত মতামত গ্রহন করেন। অভিযোগকারী সোয়াইব হোসেন পূর্বের কমিটির সদস্য ও প্রত্যাশিত সভাপতি পদপ্রার্থী। তিনি অভিযোগে বলেন,পূর্বের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৮০দিন পূর্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং শেষ হওয়ার ৩০দিন পূর্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করার নিয়ম থাকলেও,কোন তারিখ ঘোষনা ও নিয়মকানুন না মেনে,জালিয়াতির মাধ্যমে কমিটি অনুমোদনের জন্য মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। কমিটির বিষয়ে পূর্বের সদস্য বর্তমান অভিভাবক ও সদস্যগন অবগত নয়। পূর্বের অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে অভিভাবক সদস্য আজিজার রহমান বাদী হয়ে বগুড়া জজ কোর্টে ৪০৫/২১ এবং (মিস আপিল১৬০/২৩) একটি মামলা চলমান রয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। তিনি অবৈধ কমিটির বাতিলের দাবি করে নতুন কমিটি গঠনের আহবান জানান। অপরদিকে বিবাদীগণ জানায়,আমরা এই তদন্ত কর্মকর্তার কাছে উক্ত কমিটির সুষ্ঠু সুন্দর তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা চাই। এবিষয়ে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা ইয়াসমিন জানায়,তদন্ত প্রতিবেদন মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিধি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন,এব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না বলে জানান তিনি।