স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া সোনাতলায় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছরিন সুলতানা কর্তৃক সহকারী শিক্ষক লাঞ্ছিতর ঘটনা ঘটেছে । এঘটনায় সহকারী শিক্ষক ছামছুন নাহার (ববিতা) গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দুই শিক্ষকের এধরনের চুল ছিড়া-ছিড়ি দ্বন্দ্বসহ নানা ধরনের কর্মকান্ডে শিক্ষার্থী প্রায় শূন্য হচ্ছে ওই বিদ্যালয়টি। ঘটনাটি ঘটেছে সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নে সরলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। উক্ত স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,পেন্সিল,সাবান চাইলে না দিয়ে উল্টো আমাদেরকে মারপিটসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
তার এধরণের আচরণের কারণে অনেকেই স্কুলে আসা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা যায়। এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক সামছুন নাহার বলেন,গত মাস দেরেক আগে রাস্তায় জামের কারণে স্কুলে যেতে ২/৪ মিনিট দেরি হওয়ায় আমার হাজিরায় লাল কালি দিয়ে হাজিরার স্বাক্ষর বাতিল করে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি রাগান্বিত হয়ে আমাকে কলম দিয়ে আঘাত করে। প্রতিকার চেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছরিন সুলতানা আঘাতের বিষয় তিনি স্বীকার করে বলেন,সহকারী শিক্ষক ববিতা আমাকে প্রধান হিসাবে মানতে চায়না। ইচ্ছা মত প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করে,বলতে গেলেই প্রায় সময়েই অযথা ঝামেলা করে। ম্যাডামের অতিতে অনেক খারাপ রেকর্ড আছে এলাকার সবাই তা জানে। সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুনা লায়লা বলেন,এবিষয়ে আমি শিক্ষকদের নিয়ে আপোষ-মিমাংসার কথা বললে কেউ আসে না। এই দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েতুর রশিদ বলেন,আমার কাছে কোন অভিযোগ নাই তবে ইউএনও মহোদয় বলছিল যে ঐ স্কুলের ব্যপারে কিছু জানেন কি না। আমি বললাম স্কুলের ব্যপারে তো আমি জানি। তিনি আরো বলেন ওই বিদ্যালয়ে যে ঘটনা গুলো ঘটেছে তা আপনারাও তো জানেন। ইউএনও মহোদয় আপনাকে অবগত করার পর আপনি উক্ত স্কুলে কোন খোঁজ-খবর নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,না। এব্যপারে আমি কোন অভিযোগ পাইনি আর সামছুন নাহারও আমাকে কিছু জানায় নি। এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম মাসুদ জানায়,বেশ কয়েক মাস ধরে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছরিন সুলতানার সাথে সহকারী শিক্ষিক ছামছুন নাহার ববিতা ম্যাডামের প্রায়ই চুল ছেড়া-ছিড়ি দ্বন্দ্ব হয়। দ্বন্দ্বটি প্রকোপ আকার ধারন করে এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক পেন্সিল দিয়ে জখম করে সহকারী শিক্ষক শামসুন নাহার ববিতাকে। দুই শিক্ষিকার দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রায় শূন্য হচ্ছে বলে জানান তিনি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন,সরলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিক অভিযোগ করেছেন। একদিন শুনানি করা হয়েছে সমাধান হয়নি। আবারো তদন্ত করে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে শুনানি করা হবে বলে জানান তিনি।