স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের কল্যাণী সরকারি হাট-বাজারে সরকারি রাজস্ব আদায়ে বাঁধা অবৈধ দখলে নেই কোন উচ্ছেদ অভিযান। উক্ত হাট-বাজারটি সরকার চলতি বছরের গত পহেলা বৈশাখ হইতে ৩১শে চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য সরকারি ভাবে ইজারা প্রদান করে। পরবর্তীতে সরকারি ইজারাদার হাট-বাজারটিতে সরকারি রাজস্ব বা টোল আদায় করতে গেলে অবৈধ দখলদার এবং উশৃংখল ও প্রভাবশালীদের ভয়-ভীতি,হুংকার তোপের মুখে সরকারি রাজস্ব বা টোল আদাই কার্যক্রম প্রায় বন্ধের দিকে। যার ফলে উক্ত হাট-বাজার থেকে সরকার যেমন লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাতে বসছে ঠিক তেমনি সরকারি ইজারাদার ইজারার জমাকৃত অর্থ হারিয়ে ধ্বংসের মুখে পড়ছে। অপর দিকে এই সরকারি ঐতিহ্যবাহী হাট-বাজারটি ধ্বংস বা বিলীনের পথে যার ফলে অত্র এলাকার জনসাধারণের উৎপাদনকৃত কৃষিসহ সকল ফসলাদির ক্রয়-বিক্রয়ের উপর প্রভাব পড়বে এবং অত্র এলাকা অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার মত উপক্রম হয়ে পরছে। উক্ত হাট-বাজারের সরকারি খাস জমি গুলো দিনের পর দিন বেদখল হওয়ায় হাটের সরকারি জায়গা গুলো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ ভাবে দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছে একাধিক ইমারত,মার্কেট,বাসা-বাড়ী,গ্যারেজ,দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় একক আধিপত্য বিস্তার কিংবা পেশী শক্তির প্রভাবে সরকারি খাস জমি নিজেদের কব্জায় নিয়ে মালিকানা দাবি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নন-জুডিসিয়াল স্টাম্পে দখল-সত্ব বিক্রি,মাসিক ভাড়াসহ ভূয়া দলিল তৈরি করে খাস জমির মালিক হয়েছেন অনেকে। কল্যাণী হাট-বাজারের সরকারি ইজারাদার বা ব্যবসায়িক সূত্রে এবং নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জৈনক ব্যক্তি জানায় ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্হাপনা ভেঙ্গে অবৈধ দখল মুক্ত করা হলেও উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে আবারো বিভিন্ন রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এসব হাট-বাজারের জায়গা অবৈধ দখলে চলে যায়। অবৈধ ভাবে দখলে থাকায় কৃষক আর ব্যবসায়ীরা মারাত্মক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। অতি দ্রুত এসব খাস জমি উব্ধার করে হাট-বাজার গুলো ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরে এনে অবৈধ দখল হওয়া এসব সরকারি হাট-বাজারের জায়গা গুলো সাধারণ মানুষের হাট-বাজারের জন্য উন্মুক্ত করে পুরনো ঐতিহ্য ফিরানোর দাবি জানায়। এবিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন জিহাদী জানায় যে,তদন্ত সাপেক্ষে সরকারি স্বার্থ রক্ষার্থে যথাযথ আইনগত বিধি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তিনি আরো জানান,প্রয়োজন বোধে সরেজমিনে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে,অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।