লাবলু বিশ্বাস
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী, মাতাল পাড়া গ্রামে সাদা নয়, হলুদ আর বেগুনী ফুলে রঙ্গীন হয়েছে কৃষকের ক্ষেত। হলুদ বা কেরটিনা,বেগুনি বা ভেলেনটিনা এই দুই জাতের রঙীন ফুল কপি চাষ করে ব্যাপক আলোড়ল সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বরদীর কৃষক শফিকুল ইসলাম।
ঈশ্বরদী উপজেলায় তিনি পরীক্ষামূলকভাবে ১০ কাঠা জমিতে প্রথম বারের মত ২ রঙীন জাতের ফুল কপি চাষ করেন। এবং তিনি প্রথম চাষ করে বাজিমাত করেন। প্রতিদিন তার জমিতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। জমি থেকেই কেউ কেউ কিনছেন শখের এই সু-স্বাদু রঙীন ফুল কপি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী মাথালপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে কৃষক শফিকুল ইসলাম নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি চাষ করে তাক লাগিয়েছেন এবং এলাকায় আলোরন সৃষ্টি করেছেন।
কৃষক শফিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রঙিন ফুল কপির কথা আমি লোক মুখে শুনে ছিলাম। এরপর পরীক্ষামূল কিছু জমিতে চাষ করার জন্য বীজ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজতে থাকি।
কিন্তু রঙীন ফুল কপির বীজ পাওয়া দুপ্রাপ্য ও বীজের অনেক মূল্য।
রঙীন ফুল কপির চাষের স্বপ্ন নিয়ে বীজ খুঁজতে থাকেন,, একটি বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, দাশুড়িয়া-শাখায় যোগাযোগ করি। তাদের সহযোগীতাতেই প্রথম বারের মতে ১০ কাঠা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বেগুনী ও হলুদ জাতের রঙীন জাতের ফুল কপির চাষ করি। ফলন ও বেশ ভালো হয়েছে। চাহিদার তুলনায় দামও ভালো পেয়েছি। খেতে সু-স্বাদু হওয়ায় অনেকেই ক্ষেত থেকেই সংগ্রহ করছে উচ্চ মূল্যে। কেউবা সংগ্রহ করছে শখের বসে। সব মিলিয়ে বেশ ভালো আয় করেছি এই হলুদ ও বেগুনি রঙিন ফুল কপি থেকে।
তিনি আরও বলেন, রঙিন এই ফুল কপির বীজের দাম অনেক বেশী এবং দুশপ্রাপ্য।কৃষি সম্প্রসারণ ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার বলেন আমি যখন জানতে পারি উক্ত কৃষক শফিকুল ইসলাম দুই ধরনের রঙিন ফুলকপি চাষাবাদ করছেন, এবং ঈশ্বরদী সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তার মাঠ পরিদর্শনে মানুষ আসছেন। তখন আমাদের কর্মকর্তাদের উক্ত কৃষক সাথে যোগাযোগ রাখেন বলি এবং মাঠে ভিজিটসহ মাঠের মাটির উপযোগী কৃষি উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে।
আমি নিজে ঈশ্বরদী কৃষি সম্প্রসারণ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,
আমাদের ঈশ্বরদী উপজেলার সোনার মাটিতে আরও নতুন নতুন ফসল ফলানো সম্ভব বলেও তিনি জানান।
আমরা জানতে পেরেছি উপজেলায় বে-সরকারী সংস্থা জাগরণী ফাউন্ডেশন কিছু কৃষককে সহযোগীতা করেছে।