স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া র্যাব-১২ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় যে,গত ২১শে অক্টোবর-২৩ইং তারিখ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ এলাকায় বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম বর্ষের ছাত্র ভিকটিম জুনায়েদ আহমেদ(১৭) পিতা-আঃ জব্বার,সাং-সুজাবাদ,থানা-শাজাহানপুর,জেলা-বগুড়া পূজা মন্ডপ দেখার জন্য অটোতে বেজোড়া যাওয়ার পথে বনানী পাকা রাস্তার উপর অজ্ঞাতনামা ৯/১০ জনের মোটরসাইকেল বহরের সাথে অটো লেগে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামীগণ ভিকটিমকে এলােপাথারি ভাবে মারপিট করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন দ্রুত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল করে। ভিকটিম রাত্রী পৌনে ৯টার সময় মৃত্যুবরণ করে। এঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই ধরনের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোড়ন তৈরি করে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৫ই ফেব্রুয়ারি-২৪ ইং তারিখ সাড়ে ৪টার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ বগুড়া ও র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ এর যৌথ অভিযানে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানাধীন কালাইরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী রাসেল (২২) পিতা-ইয়াসিন আলী,সাং-বিহারী কলোনী,থানা ও জেলা-বগুড়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক ভাবে সে জানায় তারা এক সাথে ০৭জন থাকলেও সঙ্গীয় একজন এবং সে অটোরিক্সা চালকসহ তিনজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এবিষয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার (পুলিশ সুপার) বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা,সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলা এবং চাঁদাবাজি ও মারপিট মামলা রয়েছে মর্মে জানায় তিনি।