স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া নন্দীগ্রাম উপজেলায় এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে কৃষি জমি ও পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রির দৌরাত্মে মাটির নিচ থেকে উঠে আসছে কষ্টি পাথর সদৃশ বিষ্ণুমূর্তি। ভাটগ্রাম ইউনিয়ন থেকে পরপর দুটি বিষ্ণুমূতি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পৃথক ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার ভাটগ্রাম মধ্যপাড়া এলাকায় পুকুর থেকে মাটি খননের সময় একটি বড় আকারের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করা হয়। কষ্টি পাথরের মতো দেখতে ওই পাথরটির সঠিক ওজন বিষয়ে জানায়নি। পুলিশ এর আগে গত ২৯শে জানুয়ারি ভাটগ্রামের পাশবর্তী বিশা গ্রামের দুধার-পাড় পুকুর এলাকা থেকে ২০ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করে। প্রাচীন আমলে তৈরিকৃত ওই মূর্তির সামনের দুই পাশে হালকা ভাঙা দেখা গেছে। পৃথক দুটি ঘটনায় থানায় জিডি করেছে পুলিশ। এলাকা সূত্রে জানা যায়,ভাটগ্রাম মধ্যপাড়া এলাকায় আবু সোহেল বকুল নামের ব্যক্তি তার পুকুরে মাটিখনন কাজ করছিলেন। এসময় পুকুরের নিচ থেকে বড় আকৃতির একটি বিষ্ণুমূর্তি মাটির সঙ্গে উঠে আসে। কষ্টিপাথর ভেবে পুকুর মালিকের পরিবারের লোকজন মূর্তিটি সরানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরিত্যক্ত অবস্থায় মূর্তি পাওয়ায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরআগে গত ২৯ জানুয়ারি ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিশা গ্রামের দুধার-পাড় পুকুর এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে খননকাজ করার সময় মাটির সঙ্গে পুরাতন একটি বিষ্ণুমূর্তি উঠে আসে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে। এব্যাপারে থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জিডি করেছেন। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানায়,দুটি মূর্তি কি কষ্টি পাথর,নাকি অন্য কিছু তা পরীক্ষা ছাড়া সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। আইনী প্রক্রিয়া শেষে দুটি বস্তু প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে মর্মে জানান তিনি।