এস,এম শাহ্ জালাল, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
বাবার কোটি কোটি টাকার সম্পদ থাকতেও চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে শিল্পপতি নুর ইসলাম হাওলাদারের পরিবার। তিনটি ইয়াতিম সন্তানকে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বার সাহায্যের হাত বাড়াতে হয় শিল্পপতির স্ত্রী হালিমা আক্তারের। মিল কারখানাসহ সমস্ত সম্পদ আত্মসাৎ করে খাওয়ার অভিযোগ পার্টনারদের বিরুদ্ধে।
হিসেব নিকেশ না দিয়ে মৌখিকভাবে লোকসানের দোহাই দিলেও বন্ধ থাকেনি কারখানা ( অটো রাইস মিল)। পার্টনারদের কয়েকগুন সম্পদ বাড়লেও তাদের ভাগ্যে জোটেনা কোন টাকা। সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্ত্রী হালিমা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন,তার স্বামী মৃত মো. নূর ইসলাম হাওলাদার মাদারীপুর সদর উপজেলার কলাবাড়ীতে অবস্থিত বিসমিল্লাহ এগ্রোফুড এর একজন পরিচালক ( মালিক) ছিলেন। ০১/১০/২০১২ ইং সালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি শুরুর সময় ৪ জন অংশিদার ছিল। তার মধ্যে আনোয়ার হোসেন নামে একজন তার মালিকানা ছেড়ে চলে যাওয়ায় ৩ জন মালিক অবশিষ্ট থাকে।
তাওহিদুল ইসলাম বিপ্লব ও শাহাদাত হোসেনকে আমার স্বামী তাদের অনুরোধে মানবতার পরিচয় দিতে গিয়ে পরিচালক হিসেবে নেন। আমার স্বামী ২৪/০৫/২০১৯ সালে মারা যান। তার স্বামীর মৃত্যুর পরে পার্টনারা তার স্বামীর সেই কৃতিত্বের কথা ভুলে গিয়ে আমার স্বামীর মৃত্যুর পরে সম্পুর্ন মিলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোম্পানির নামে থাকা জায়গা জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছে।
এমনকি তাকে মামলা দিয়ে ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে হয়রানী করছে। তার স্বামীর নিজের টাকায় কেনা ঘটমাঝি ইউনিয়নের মন্টারপুল এলাকার আনন্দ গাইন ও গৌবিন্দ গাইনদের নিকট থেকে ২ একর জমি ক্রয় করেন। সেই জমি প্রতিষ্ঠানের লোন করার জন্য প্রয়োজন বলিয়া তারা প্রতিষ্ঠানের নামে লিখে নেন বিনা টাকায়। সেই জমির উপর তিন কোটি টাকার লোন পাশ হয় । তবে তার স্বামী মারা যাওয়ার কারনে আমি বা আমার স্বামী লোনের টাকা উত্তোলনের জন্য কোন স্বাক্ষর করি নাই। সেই জমি আমার ভোগদখলে আছে।
সেই জমির সম্পূর্ন মালিক আমার স্বামী থাকা সত্বেও তাওহিদুল ইসলাম বিপ্লব ও শাহাদাত হোসেন বলেন, ০৩ এর ০১ অংশের মালিক তিনি ও তার ইয়াতিম সন্তানরা। তবে তারা মুখে ৩ এর ১ অংশের কথা স্বীকার করলেও তারা সম্পুর্ন জমিটি দখল করিয়া নিতে চেষ্টা করছে। বিগত কয়েক দিন আগে সেই জমিতে থাকা গাছ গুলো কেটে বিক্রি করিবার পায়তারা করছে তারা (পার্টনাররা)।
মাদারীপুর ইটেরপুল ব্যবসা করার জন্য লোন করেন শাহাদাত হোসেন সেখানে ও তার স্বামীকে লোনের জামিনদার করে আমার স্বামীর ১৯ শতাংশ জমির দলিল ব্যাংকে রেখে শাহাদাত হোসেন টাকা উত্তোলন করে। অথচ তার স্বামী মারা যাওয়ার পরে শাহাদাত হোসেন ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার মিথ্যা মামলা করেন তার ও তার শ্বশুরের নামে।
প্রতিষ্ঠানের লাভ-লোকসানের কোন হিসেব বিগত ৪ বছর যাবৎ তারা দেয় না। ২০২৩ সালে ২৫,০০০/=(পচিশ হাজার) টাকা করে ৪ কিস্তিতে তাকে মোট এক লক্ষ টাকা দেন তারা। অংশিদারের ওয়ারিশ হিসেবে তার ও তার সন্তানদের কোন খোজ খবর তারা নেন না।
বিগত দিনে গণ্যমান্য লোকমারফত প্রতিষ্ঠানের ওয়ারিশ হিসেবে লাভ লোকসানের হিসেব চাইলে তারা মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেন বিগত সব বছর গুলোতেই না কি শুধু লোকসান হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন সম্প্রতি বছর গুলোতে কিভাবে তারা বিভিন্ন সম্পদ ক্রয় করেছেন?
যদি লোকসানই হয় তাহলে মিল এখনো বন্ধ করা হয়নি কেন?
তাদের বর্তমান সম্পদের হিসেব নিলে ও আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
সে প্রশাসনকে অনুরোধ করেন তার স্বামীর মৃত্যুর পরে প্রতিষ্ঠানের কি লাভ-লোকসান হয়েছে তা হিসেব করে তার সমস্ত পাওনা যেন তারা আমাকে বুঝিয়ে দেন। যাতে সে তার সন্তানদের নিয়ে কোন ভাবে বেচে থাকতে পারেন। তার ও ইয়াতিম সন্তানদের ন্যায্য অধিকার বুঝে পাইতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে তাওহিদুল ইসলাম বিপ্লব দর্জি বলেন, সে মিলের তিনের এক অংশের মালিক তা সত্যি। তবে ব্যবসায় লাভ-লোকসান থাকবেই। তার সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো। তার সম্পুর্ন হিসেব বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এস,এম শাহ্ জালাল,মাদারীপুর। মোবাঃ ০১৭১৭৪৬০২১৯