আলী আজগর রবিন স্টাফ রিপোর্টারঃ
সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই উপজেলা ভোটের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এ মাসের শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
অন্য দিকে, উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে রায়পুরে সর্বত্র বইছে নির্বাচনী হাওয়া। সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা আড্ডার স্থলে এখন আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে আগামী উপজেলা নির্বাচনে কে কে প্রার্থী হচ্ছেন। কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন ইত্যাদি।
পাশাপাশি বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঘরোয়া বৈঠকে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তারা। অনেক প্রার্থী তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে খেলাধুলা, পিকনিক পার্টি আয়োজনসহ নানাবিদ কৌশল অবলম্বন করে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে রায়পুর হতে জেলা আওয়ামী লীগে স্থানপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন নেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, অতীতের যে কোনো সময়ের চাইতে এবারের উপজেলা ভোটের সমীকরণ কিছুটা জটিল হতে পারে। বিশেষ করে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এসব নেতারা। সে হিসেবে এবারের নির্বাচনের দিকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দৃষ্টি একটু বেশি। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না। গ্রুপিং এড়াতে আওয়ামী লীগ এমন কৌশলে হাঁটছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে সব কিছু উড়িয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে রায়পুরেতে নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন, সেটি এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে যে চার জনের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাষ্টার , বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া। আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট মিজান। এই সকল প্রার্থীদের নাম শোনা গেলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কারো কথা এখনো শোনা যায়নি।
অন্য দিকে, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে অর্ধ ডজন সম্ভাব্য প্রার্থীর তৎপরতা শোনা যাচ্ছে।