পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : সোমবার , ২২ জানুয়ারী, ২০২৪ সময় ৫.৩০ মিঃ
পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলার অন্তর্গত দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ৪০ বছর ধরে বাবার দেওয়া বসতভিটায় বসবাস করছিলেন হাসিনা বেগম। উক্ত বোনকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মানিকৈর গ্রামের হাসিনা বেগম পিতা মৃত: সোবহান প্রামানিক আপন ভাইদের বিরুদ্ধে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি একজন ভূমিহীন, থাকার আশ্রয়স্থল না থাকায় আমার বাবা মৃত: সোবহান প্রামানিক জীবিত থাকতে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করার জন্য একটি বসতভিটা করে দেন ভুক্তভোগীর পিতা।
এখানে ৪০ বছর ধরে বসবাস করতাম আমরা। বাবা মারা যায় ৭ বছর আগে কিন্তু জমির ভাগ বাটোয়ারা না করে দিয়ে বাবা মারা যাওয়ার পরে আমার পাঁচ ভাই রওশন, বারু, বাবলু, আইজাল, আফাল ও আমার ভাতিজারা মিলে বসতভিটা থেকে থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। হঠাৎ করে গত আড়াই মাস আগে গোপনে জমির জাল দলিল করে বসতভিটা থেকে চলে যাওয়ার জন্য আমার ছেলে ও নাতিকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর আমরা বাধ্য হয়ে গত আড়াই মাস হল বসতভিটা ছেড়ে বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছি। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এসব বিষয়ে হাসিনা বেগমের ছেলে ইসরাইল হোসেন আরও অভিযোগ করে জানান, আমরা ভূমিহীন আমাদের থাকার কোন জায়গা নেই। নানা বেঁচে থাকতে, চল্লিশ বছর আগে আমার মাকে বসতিভটা করে দেন। সেখানে আমার মা ও আমার সন্তান সহ দীর্ঘদিন বসবাস করতাম। কিন্তু আমাদেরকে জমির ভাগ বাটোয়ারা বুঝিয়ে না দিয়ে, আড়াই মাস হল আমার মামারা গোপনে জাল দলিল করে ও আমার আইডি কার্ড জালিয়াতি করে বানিয়ে নেয়। এরপর মামা ও মামাতো ভাইদের নিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ও আমাদেরকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন। এমনকি গত ১৮ তারিখে আমাদের ঘরের বেড়া খুলে নিয়ে যায় ভাইয়েরা ।
এভাবে আমাদের ঘর তাদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা ও চক্রান্ত চলতে থাকে।
এখন আমরা খালার বাসায় আশ্রয় নিয়েছি। এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে আমরা জানিয়েছি ও থানায় অভিযোগ করব। এ বিষয়ে পাবনা জুডিশিয়াল ঈশ্বরদী কোর্টে আমরা মামালা করেছি। সেই মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে জানতে গেলে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে বাবলু প্রামানিক নামে এক ভাইকে বাড়িতে পাওয়া যায়, তিনি অভিযোগের কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দাশুড়িয়া ইউপি চেয়াররম্যান বকুল সরদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার আমাকে জানিয়েছে, আমি বলেছি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে এবং আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা প্রয়োজন আমি করব।