স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়াসহ সারা উত্তর অঞ্চলে কোন ভাবেই কমছে না শীতের প্রকোপ পেটের ক্ষিদায় ছুটছে মানুষ। সেই সাথে অসহায় হয়ে পড়ছে ছিন্নমূল মানুষের চলাফেরা এবং জীবনযাত্রা মান। হঠাৎ একটু সূর্যের দেখা মিললেও কিন্তু ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রকোপ তীব্র,এদিকে গরিব দুঃখী অসহায় মানুষদের ঘরে থাকার সুযোগ নেই। কারণ কোন ভাবেই মানছে না পেট,তাদের কর্মই হচ্ছে দিন এনে দিন খাওয়া,প্রয়োজনের তাগিদে তাদের মাঠে-ঘাটে ছুটতে হচ্ছে। তাই তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। কথায় আছে,মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে,মাঘ মাসের শুরুর দিকেই ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত যেন জোরে-শোরে জেঁকে বসছে। সারা দেশের ন্যায় বগুড়াসহ সারা উত্তর অঞ্চলে ৬/৭ দিন পরে মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের প্রকোপ কমার কোন প্রভাব এখনো পড়েনি। এরেই মাঝেই ছিন্নমূল অসহায় সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের মানবেতর জীবন যাপনের মধ্যে নিত্য দিনের কর্মজীবনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হচ্ছে। রিক্সা চালক খোরশেদ আলম জানায়,এই শীতের কারণে বেশি সকালে রিক্সা নিয়ে বের হতে পারি না। আর বের হয়েও লাভ হয় না,বেশি সকালে যাত্রী পাওয়া যায় না। ভাড়ায় রিক্সা চালাই প্রতিদিন ৬শত থেকে ৭শত টাকা রোজগার করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে গরমের সময় ভালো টাকা রোজগার করতে পারি। আর রিক্সার মালিককে প্রতিদিন ৪শত টাকা করে দিন হাজিরা দিতে হয়,দেয়ার পর নিজের কাছে থাকে ২শত টাকা থেকে ৩শত টাকা এই সময়ে দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি তাতে এই টাকা দিয়ে কি হয়। অন্যদিকে অটো ইজিবাইক চালক বিকাশ চক্রবর্তী জানায়,এই তীব্র শীতে থরথর করে কাঁপছে এই বগুড়ার মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় চরম অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। তীব্র শীতে কাজে যেতে পারছে না নিম্নবিত্ত ও দিন মজুর শ্রেণী পেশার মানুষ। হতদরিদ্র মানুষ শীত মোকাবেলায় চরম ভাবে হিমশিম খেলেও কেউ এগিয়ে আসছে না তাদের সাহায্যে। শীত বস্ত্রের অভাবে সব চেয়ে বেশী দুর্দশা ও কাহিল হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তীব্র শীতে পশু-পাখিসহ প্রাণী কুলের অবস্থা নাকাল। অসহনীয় শীতের কারণে শ্রম বিক্রি করতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না লোকজন। তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। শীতের কারণে শহরের ফুটপাতসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। রাতে ও সকালে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় দূর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। এবিষয়ে বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়,প্রতি বছর এই জানুয়ারি মাসের শুরু এবং মাঝামাঝির দিকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মাঝে বেশ কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়লেও আবারো কমতে শুরু করে। গত ১৮ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। অনেকেই ঘর বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছে না,যতক্ষন না একটু হলেও সূর্যের দেখা মিলে মর্মে জানান তিনি।