মোঃ হাসমত আলী অপু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোছাঃ ময়না খাতুন (৩৭) কে দীর্ঘ ০৯ বছর পর গ্রেফতার করেছে সিপিসি-১ (কুষ্টিয়া), র্যাব-১২
সিপিসি-১ (কুষ্টিয়া),র্যাব-১২ এর সিনিঃ এএসপি স্কোয়াড কমান্ডার কিশোর রায় আজ সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় এক প্রেস ব্রিফিংএ বলেন,
” বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং তারিখ কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানাধীন নওদাপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মনোয়ারা বেগম এর বাড়ীর সামনে অবৈধ হেরোইন ক্রয়/বিক্রয়ের জন্য নিজ হেফাজতে রাখিয়া অবস্থান করাকালে গ্রেফতার হন কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মোছাঃ ময়না খাতুন(৩৭)
উক্ত ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানায় মোছাঃ ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং-১, তারিখ-০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর ১(খ)। উক্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২৮ নভেম্বর ২০২১ সালে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ০১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড সাজা দিয়ে রায় প্রদান করেন। আটক হওয়ার পর প্রায় ০৭ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান ময়না খাতুন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ময়না খাতুনকে গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২,সিরাজগঞ্জের দিকনির্দেশনায় সিপিসি-২, র্যাব-৪ এবং সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাত ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা হতে পলাতক আসামি কুষ্টিয়া ভেড়ামারা থানার নওদাপাড়া গ্রামের মোঃ খাজা এর স্ত্রী ময়না খাতুন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃত আসামিকে পরবর্তীতে আদালতে প্রেরণ করা হয়।