যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ সোহরাব হোসেনের ঝুমঝুমপুরের গুদাম থেকে সোমবার আরও ২০ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল উদ্ধার হওয়া সার বৈধ এবং ক্রয়ের ক্যাশ মেমো আছে বলে দাবি করেছেন।অপরদিকে আগের দিন রোববার রাতে সদর উপজেলার হামিদপুর বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজ থেকে সরকারি ২০ বস্তা সার উদ্ধারের ঘটনায় দোকান মালিককে ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।এলাকাবাসী জানান, সোমবার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ সোহরাব হোসেনের ঝুমঝুমপুরস্থ গুদামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে বিএডিসি’র ২০ বস্তা এমওপি সার উদ্ধার করা হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল ওই সার নিজের এবং বৈধভাবে ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন।সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান জানান, চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল ২০ বস্তা সারের বিপরীতে একটি ক্যাশ মেমো দেখিয়েছেন। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী ক্যাশ মেমোটি যাচাই বাছাই করে দেখছেন। তদন্তে এই সারের যদি কোনো বৈধতা না পাওয়া যায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এর আগে রোববার সন্ধ্যায় হামিদপুর বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজ থেকে সরকারি ২০ বস্তা পটাশ সারসহ দোকান মালিক শাহাবুদ্দিন এবং নসিমন চালক শরিফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর তার নেতৃত্বে রাতে ঝুমঝুমপুরে চেয়ারম্যানের গুদামে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কাউকে না পাওয়া যাওয়ায় গুদাম তালাবদ্ধ করে রেখে আসা হয়। গতকাল সোমবার সকালে ফের ওই গুদামে অভিযান চালিয়ে ২০ বস্তা সরকারি সার উদ্ধার করা হয়।এদিকে সোমবার বিকেলে চেয়ারম্যান শেখ সোহরাব হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
মঈন উদ্দীন এডিপি বাংলা যশোর।