জুয়েল শেখ জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
উত্তরাঞ্চলে সীমান্তবর্তী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। দূর্ভোগ পড়েছে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্হিতি । বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ।
গত কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহের কারনে কনকনে শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারিদিক। এসময় আবার আর হালকা ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে । দুপুর গড়িয়ে গেলেও দেখা মিলছে না সূর্যের । ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় হেড-লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন । ঘন কুয়াশার কারনে উপজেলায় রাস্তায় চলাচলরত যানবাহন দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
তীব্র শীতের কারণে প্রভাব পড়েছে ছিন্নমুল অসহায় মানুষের জনজীবনে। নিম্ন আয়ের গরীব অসহায় খেটে খাওয়া শ্রমিকেরা পরিবারের চাহিদার তাগিদে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে ছুটছেন কাজের সন্ধানে। গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এছাড়া দোকান সহ ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রি বেড়ে গেছে অনেক গুন।
এদিকে এমন অবস্হা চলতে থাকলে আগামী বোরো ধানের জন্য তৈরি বীজতলা ও আলুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে । এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফর রহমান বলেন এমন অবস্থা চলতে থাকলে রাতে বীজতলা ঢেঁকে রাখতে হবে এবং আলু ক্ষেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করতে হবে। অন্য দিকে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ । এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক ডাঃ নুরুল আমীন বলেন, হাসপাতালে আগের তুলনায় ঠান্ডা জনিত কারনে বয়স্কদের এ্যাজমা রোগ ও শিশুদের ডায়রিয়া সহ সর্দিকাশি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।
উপজেলা প্রকল্প অফিস সুত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার কম্বল বরাদ্ধ এসেছে। পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা সুলতানা বলেন, ইতোমধ্যে সরকারি ভাবে আসা শীতবস্ত্র গরীব অসহায় শীতার্তদের মাঝে বিতরনের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রদান করা হচ্ছে।