মোঃ হাসমত আলী অপু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
নীলার যার নাইরে সীমা
কোন সময় কোন রুপ সে ধরে,
সাঁই এর নীলা
বুঝবি ক্ষ্যাপা কেমন করে।
মহাত্মা লালন সাঁইজি সত্য,সুন্দর ও সাম্যের পৃথিবী গড়ার বানী নিয়ে এসেছিলেন, যখন বাংলায় ধর্মের নামে হানাহানি এমনকি নিজ নিজ ধর্মের ভেতর জাতের নামে বিভেদ সর্বত্র। এছাড়াও সতিদাহ প্রথার মত ভয়াবহ অবস্থা তার মধ্যে তিনি শান্তি ও সাম্যের বানী ছড়িয়ে দিলেন সুরে সুরে।মানবতা প্রেমি মানুষ গুলো তাঁর অহিংসা,অসাম্যের সুরেলা বানীতে মুগ্ধ হয়ে অন্তরে ধারণ করলেন সুরেলা সেই বানী গুলো।
দেহতত্ত্ব কে নিয়ে গেলেন গভীর থেকে গভীরে।হিন্দু মুসলিম কে এক যায়গায় এনে গড়ে তুললেন প্রকৃত মানুষের একটি সমাজ যা এর আগে কেউ কখনো করতে পারেনি।আজও তাঁর মধুর বানী মানুষের পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখায়।
তিনি মানবতার মূর্ত প্রতিক।মানব প্রেমে যিনি তাঁর পুরো জিবনটা উৎসর্গ করেছিলেন।
এই পথটা মোটেও সুগম ছিলো না।তিনি বাস্তুহারা হয়েছেন,সমাজ হারা এমনকি পরিবার হারা। সঙ্গীদের নিয়েও অত্যাচারের স্বীকার হয়েছেন তখন।ধর্মান্ধদের অত্যাচারের পরেও শান্তির পথে সুরের মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।
আমি একজন মানবের কথা বলছি।
আমি বলছি একজন দার্শনিকের কথা,আমি বলছি একজন মতাদর্শের কথা।
আমি বলছি মহাত্মা লালন সাঁইজির কথা।
যাঁকে ভালোবাসা যাই,সম্মান করা যাই,শত কোটি প্রণাম করা যাই।
প্রতি শত বছরেও যদি একজন লালন ফকির আসতো তাহলে এই পৃথিবীটা সত্যিই মানুষের পৃথিবী হতো।
শান্তির বানী ছড়িয়ে পড়ুক সব খানে,মহাত্মা লালন সাঁইজি আদর্শ ফুটে উঠুক সমাজে।