জুয়েল শেখ জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
নতুন কারি কুলামে আসন সংকটের জটিলতায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চারটি বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন করে ভর্তি হতে পারেননি শতাধিক শিক্ষার্থী। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিনে অন্য সহপাঠীরা নতুন বই হাতে বাড়ী ফিরলেও তারা ফিরেছেন শূণ্য হাতে।
১লা জানুয়ারী বই উৎসবের আনন্দ নেই তাদের চোখে মুখে এর ফলে অভিভাবকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষকেরা বলছেন, বছরের প্রথম দিন ভর্তি হতে না পেরে মন খারাপ কিংবা হতাশার কোনো কারন নেই। এখন যাঁরা ভর্তি হতে পারেননি পরবর্তীতে লটারীর মাধ্যমে অন্য স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
উপজেলার যেসব স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি শতাধিক শিক্ষার্থীরা- বাগজানা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬০/৬৫ জন, রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ৫ জন, শাইলট্রি রায়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ৭ জন (অতিরিক্ত ভর্তি), পিয়ারা ছাতিনালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ জন ও রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জন শিক্ষার্থী সব মিলিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী এখনও ভর্তি হতে পারেননি।
অভিভাবকরা বলছেন, আগে বাড়ীর পাশে স্কুলে ছেলে মেয়েদের ভর্তি করে দিতাম চিন্তা থাকতো কম। এখন বাড়ীর পাশে স্কুল ভর্তি না নেওয়ার কারনে দূরবর্তী স্কুলে যেতে হচ্ছে। এতে ছেলে মেয়েদের খরচের বিষয়ে থেকে শুরু করে নিরপত্তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। আমরা চাই স্ব স্ব এলাকার স্কুলে আমাদের ছেলে মেয়েদের ভর্তি নেওয়া হোক।
উপজেলার শাইলট্রি রায়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনছুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত ভর্তি না নেওয়া গেলেও আমার স্কুলে অতিরিক্ত ৭ জন শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে নিয়েছি, যা ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। যেহেতু আমার স্কুলটি পাড়াগাঁয়ের এলাকয় অবস্থিত সেকারনে অনেক গরীব শিক্ষার্থী আছে যারা হয়ত ঝড়ে পড়ে যাবে। তখন তাদের দিয়ে কোঠা পুরুন করব।
পাঁচবিবি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমান খান বলেন, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। এখন যে সকল শিক্ষার্থী এক স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা তাঁরা অন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারবেন। তাছাড়া এবিষয়ে পরবর্তী কোনো নির্দেশনা আসলে সেটি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।