মুরাদ খান মানিকগঞ্জ থেকে
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পিতলের কয়েন’কে স্বর্ণের কয়েন বলিয়া প্রতারনা করা সময় ১০০১টি কয়েনসহ প্রতারকচক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে উপস্থিত লোকজন। প্রতারক আটকের সংবাদ পেয়ে সিংগাইর থানা পুলিশ ধৃত তিন প্রতারকসহ ১০০১টি পিতলের কয়েন জব্দ করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, সিংগাইর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম।
আটকরা হলেন, গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম নওখন্ডা গ্রামের মৃত আলা মিয়ার ছেলে মো. বিল্লাল (৩৮), মোসলেম খানের ছেলে মো. রিপন খান (৪০) ও বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত আহম্মেদ গাজীর ছেলে আবজাল হাজী (৪১) এবং এক জন প্রতারক দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার সময় সিংগাইর থানাধীন দক্ষিণ ধল্লার হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোর্ডনগর সংযোগ রাস্তার মোড়ে খান ফুড রেস্টুরেন্টের সামনে পাকা রাস্তার উপর সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের চার সদস্য উপজেলার চর লক্ষীপুরে মো. আনোয়ার হোসেন’কে একটি স্বর্ণের কয়েন সেম্পল হিসেবে বাহির করিয়া দেখায়। এবং মোট ০৩টি ব্যাগে খাটি স্বর্ণের কয়েন/পয়সা আছে জানাইয়া প্রতারকরা ভিকটিম মো. আনোয়ার হোসেনের নিকট হইতে টাকা চায়। প্রতারকরা তিন ব্যাগে সর্বমোট ১০০১টি কয়েন দেয়। ভিকটিম উক্ত কয়েন হাতে নেওয়ার পর প্রতারকদের টাকা দেওয়ার প্রাক্কালে সন্দেহ হলে আশেপাশে থাকা লোকজন ডেকে এনে প্রতারকদের দেওয়া স্বর্ণের কয়েন দেখালে সকলে উক্ত কয়েন স্বর্ণের নয় এবং পিতলের কয়েন বলে জানায়। তখনই প্রতারকরা ভিকটিম মো. আনোয়ার হোসেনের হাত হইতে উক্ত কয়েন নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ভিকটিমসহ উপস্থিত লোকজন প্রতারক প্রতারকচক্রের ৩ সদস্যকে আটক এবং একজন পালিয়ে যায়।
প্রতারকদের বিরুদ্ধে সিংগাইর থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।