সিরাজগঞ্জ থেকে রেজাউল করিম
সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ এলাকার মধ্যে ভদ্রঘাট গ্রামের একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সুজাবত আলী ওরফে আব্দুস ছাত্তার কে মুক্তি যোদ্ধা তালিকায় নাম লেখাতে মেয়ে লাভলী খাতুন সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের দরজায় কড়া নাড়ছেন।
এদিকে অনেক দিন যাবত ঘুরাঘুরি করেও এখন পর্যন্ত মৃত বাবার স্বপ্ন পুরনে বাবাকে মুক্তি যোদ্ধা তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি তাই। গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ ইং অনেক কষ্ট বুকে নিয়ে মেয়ে লাভলী বলেন
আমার বাবা যুদ্ধ শেষ করে বাড়ি ফিরলেন বিজয় নিয়ে। পরর্বতীতে যুদ্ধ শেষে বিহারী নামক নরপিচাশ ও যুদ্ধে বাধাদানকারী ও পাকিস্থানী বাহিনীদের সাহায্যকারী আমাদের দেশীয় দালাল রাজাকারদের নিধন করেন। পরে আবার কর্মস্থলে ফিরে যান আমার বাবা। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এবং ফিরে যান কর্মস্থলে – পরে চাকরি হারিয়ে
ফিরে আসেন ছায়াঘেরা সেই পলাশডাঙ্গাতে।
চাকরীচ্যুত হওয়ার পর সংসারের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে আমার বাবা নিজের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আছে কিনা জানতে পারেনি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আব্দুস সাত্তার নামে কামারখন্দে অনেক তালিকাই ছিলো। কিন্তু আমার বাবার নাম কোন তালিকায় রয়েছে? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।
আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও কোনো সম্মান পাননি। বড় অবহেলায় আমার বাবা অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মনে অনেক কষ্ট নিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আমার বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করা। কিন্তু অর্থের অভাবে বাবাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিতে পারিনী। আমার বাবা শুরু থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। যদিও আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। তার পরেও মুক্তিযোদ্ধার একজন মেয়ে হয়ে নিজেকে গর্ব বোধ মনে করি।
এমতাবস্থায় বাবার নামটা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করেন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার মধ্য ভদ্রঘাট গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুজাবত আলী ওরফে আব্দুস সাত্তারের কন্যা লাভলী খাতুন।