রিপোর্টঃ এস,এম শাহ্ জালাল, কালকিনি, মাদারীপুর।
মাদারীপুরের কালকিনিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং বাদ যোহর সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব উত্তম কুমার দাস বলেন, এই দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি বেদনার দিন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণ শুরু করে এবং পাকিস্তানিরা যখন তাদের অনিবার্য পরাজয় উপলব্ধি করে তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আঃ জলিল বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও নতুন রাষ্ট্রকে মেধা শূন্য করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মেধাবী মানুষদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায়। বাঙালি জাতি যাতে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তালিকা করে হত্যা করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মালেক বলেন,বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয় বাঙালি জাতি।অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, আত্মদান ও দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
সন্ধ্যার পরে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে,কালকিনির ভুরঘাটা ঐতিহাসিক লালপুল ব্রীজে মোমবাতি প্রোজ্জলন করা হয়।
এসম উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাস,সহকারি কমিশনার ভূমি কায়েসুর রহমান,কৃষি অফিসার মিল্টন বিশ্বাস,মৎস্য অফিসার,সন্দিপন মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল, ডেপুটি কমান্ডার আঃ মালেক প্রমূখ।