প্রশান্ত কুমার পাল (জেলা প্রতিনিধি )সাতক্ষীরা,
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটে ঘন কুয়াশার মধ্যে ছুটে চলেগাছিরা বেঁধে রাখা মাটির পাত্রটি নামাতে। গাছিরা রস সংগ্রহ করে স্থানীয় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে চলে বিক্রির উদ্দেশ্যে ।
রস বিক্রয় করে তাদের পরিবারের জন্য জীবিকা নির্ভর করে অনেক গাছিরা। তাছাড়া অনেক গাছিরা রস নামিয়ে নিয়ে চলে আসে বাড়িতে। তারপরে বড় কড়াই ঢেলে আগুনে জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে সেটা গুড় তৈরি করে। পরে ওটা বাজারে বিক্রি করে।
একজন গাছি আমাকে জানান যে, ভালো গুড় কিভাবে পাওয়া যায় সে বলেন যে ভালো গুড় গুলো রসালো হয়। আর যে গুড় গুলো শক্ত প্রকৃতির হয় সেগুলো চিনি দ্বারা তৈরি করা হয়।
একজন মাটির হাঁড়ি তৈরীর কারিগর (পূর্ণ পাল) এর সাথে কথা বলে জানলাম যে ,গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর মাটির হাড়ি বিক্রি হচ্ছে কম। প্রতিটি রসের হাঁড়ির মূল্য এবছর ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে।
একজন রস ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানলাম যে, অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে মিলল রস বিক্রেতার সাথে দেখা। সে আমাকে বলে প্রতি হাড়ি রসের দাম ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কিনছে । তাছাড়া সে বলে কাঁচা রস খেতে খুব মজা লাগে।
তাছাড়া প্রতি বছর শীতের রসের পায়েস ও বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে সকলের অনেক পছন্দের ব্যাপার ।