স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে গত ১১ই ডিসেম্বর ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে যায় গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা গ্রামের মৃত আজাদ রহমানের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান (৪০) তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে সাথে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যায়। উক্ত শজিমেক হাসপাতালের ৪র্থ তালায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয় এবং বেলা অনুঃ সাড়ে ১০টার সময় তার পার্শ্বের বেড এর এক শিশু বাচ্চা শ্বাসকষ্ট রোগে ছটফট করতে ছিল এসময় ভুক্তভোগি বাচ্চাটিকে অক্সিজেন দেয়ার কথা বললে সেটাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের স্টাফ,নার্স,ইন্টারনী ডাক্তার ও অনসার সদস্যরা তাকে তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ এলোপাথারী ভাবে কিল,ঘুষি,লাথিসহ বেধড়ক মারপিট করে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা,কাটা-ফাটা ও রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীর শরীর থেকে কাপড় চোপর টেনে হেছড়ে খুলে ফেলে অশ্লীলতাহানী ঘটায়। এছাড়াও ভুক্তভোগীদের কাছে থাকা মোবাইলসহ নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় ও তাদের জোরপূর্বক ভাবে ছবি তুলে এবং তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এরপর পুলিশ সদস্য আসিয়া উক্ত বিবাদীদের কবল থেকে উদ্ধার করে থানায় আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়।
এদিকে ভুক্তভোগীর সাথে ঘটিয়ে যাওয়া ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা থেকে জানা যায় প্রত্যক্ষদর্শীরাসহ জনসাধারণ ব্যক্তিরা ইতিপূর্ব থেকেই শজিমেক হাসপাতালের স্টাফদের অন্যায় অত্যাচার,অবিচার,নির্যাতন ও মারপিটসহ দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছে এবং দালাল চক্রে পুরো হাসপাতাল অনিয়ম দুর্নীতিতে ভরে গেছে যেন দেখার কেউ নেই। তাই তারা দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছে। ভুক্তভোগী বর্তমানে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছে।
এবিষয়ে ১৩ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি ডাঃ মিশু জানায়,আমি বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি তবে অফিসিয়াল ভাবে এখনো কোন কিছু জানতে পারেনি। অন্যদিকে বিএম এর সভাপতি ডাঃ মোস্তফা আলম নান্নুকে একাধিক বার মুঠো ফোনে ফোন করে যোগাযোগ পাওয়া যায়নি। আর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানাই যে,তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত বিধি-ববস্থা গ্রহন করা হবে।